স্বপ্নীল মজুমদার: এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের দায়ে তাঁর ভাই ও ভাইপোকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিল ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা আদালত।
সোমবার ওই আদালতের দায়রা বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া(Beliyabera) থানার খড়িপাড়িয়া(Kharipariya) গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী অমৃত পাত্র ও তার ছেলে বছর তিরিশের মানস পাত্র।
ঘটনাটি ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি ঘটেছিল।খড়িপাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কালীপদ পাত্র ও তাঁর ভাই অমৃত পাত্রের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে বিবাদ ছিল। জমির সীমানায় একটি বাবলা গাছ ছিল। ঘটনার দিন কালীপদ ওই গাছটি কেটে ফেলেন। এরপর বিকেলে গাছ কাটা নিয়ে কালীপদের সঙ্গে অমৃত ও মানসের তীব্র বচসা শুরু হয়। কালীপদকে বেধড়ক পেটায় দু’জনে।
আরও পড়ুনঃ ঘোমটা সরিয়ে কনের মুখ দেখতেই হতবাক বর-ধুমনগরে তুলকালাম
জখম কালীপদকে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে(Gopiballavpur Super speciality hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়িতে কালীপদকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরদিন ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি অমৃত ও মানস ফের কালীপদের উপর কুড়ুল ও লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। গুরুতর জখম রক্তাক্ত কালীপদকে গোপীবল্লভপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(Medinipur Medical Collage Hospital) রেফার করা হয়।
মেদিনীপুর থেকে কালীপদকে কলকাতা রেফার করা হয়। কিন্তু রাস্তায় অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় কালীপদকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চারদিন পর কালীপদের মৃত্যু হয়। কালীপদের এক সম্পর্কিত ভাইপোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করেছিল বেলিয়াবেড়া থানায় পুলিশ। প্রথমে মানসকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ফেরার অমৃত ধরা পড়ে। মামলায় পরে খুনের ধারা যুক্ত করে পুলিশ। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ওই বছরের ৭ জুলাই বিচারের জন্য মামলার চার্জ গঠন হয়। গত বছর ১৭ জানুয়ারি থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।