Jhargram Chilkigarh: ৩০০ বছরের প্রাচীন রাজবাড়ি অতিথির অপেক্ষায়, শীতে ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড়

Published On:

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Jhargram Chilkigarh: প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন রাজবাড়ি! শত বছরের ঐতিহাসিক গাম্ভীর্য নিয়ে অতিথির অপেক্ষায়। চাইলে এই শীতে আপনিও হতে পারেন অতিথিশালার অতিথি। সে জন্য আসতে হবে ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড় (Jhargram Chilkigarh)। জঙ্গল, ডুলুং নদী, কনকদূর্গা মন্দির মিলেমিশে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) এই গ্রামে তৈরি করে এক অপূর্ব প্রাকৃতিক মাধুর্য। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে চিল্কিগড় (Chilkigarh Rajbari) এক অনন্য আকর্ষণ।

এতদিন ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড় রাজবাড়িতে পর্যটকদের প্রবেশের কোন অনুমতি ছিল না। যদিও রাজবাড়ির আউটহাউসে ছিল অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা। কিন্তু এবার থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল রাজবাড়ির অন্দরমহল। রাজবাড়ীর অন্দরমহলে চালু করা হয়েছে হেরিটেজ চিল্কিগড় রাজপ্যালেস হোটেল। সেখানে রাত্রিবাসের সর্বনিম্ন খরচ ৮০০ টাকা। রাজবাড়িতে রাত্রি যাপনের পাশাপাশি আরও আকর্ষণ রয়েছে চিল্কিগড়ে। চিল্কিগড় দিয়ে বয়ে গিয়েছে সুবর্ণরেখা নদীর একটি ছোট উপনদী ডুলুং। রয়েছে জঙ্গল। রাজবাড়ি থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে কনকদূর্গা মন্দির।

প্রায় তিনশো বছর আগে জামবনীর রাজা ছিলেন ভূমিপুত্র সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ। চিল্কিগড় ছিল তাঁর রাজধানী। চিল্কিগড়ের প্রাচীন কনকদূর্গা মন্দির এবং বর্তমান রাজবাড়ি রাজা গোপীনাথ সিংহের আমলে তৈরি। দ্বিতল রাজবাড়িটি মুঘল ও ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। দেওয়ালে অন্যান্য কারুকার্যের সাথে বাংলা রীতির কল্পার কাজও চোখে পড়ে। সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলি আজ কিছুটা ম্লান। চত্ত্বরের মধ্যেই রয়েছে তিনটি মন্দির। সবচেয়ে বড় রাধাকৃষ্ণের নবরত্ন মন্দির।

কীভাবে যাবেন- ট্রেনে আসতে হবে ঝাড়গ্রাম স্টেশন। ঝাড়গ্রাম থেকে গাড়ি ভাড়া করে মাত্র ১৪ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে চিল্কিগড় রাজবাড়ি।