ঝাড়গ্রাম লোকসভা: আসন ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি, জেতার ব্যাপারে প্রত্যয়ী তৃণমূল

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার~ আজ ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের ১৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা। তবে তৃণমূল ও বিজেপি যুযুধান দুই শিবিরে লড়াইয়ে অনুঘটক হয়ে রয়েছে একাধিক প্রার্থী। ভোট কাটাকুটিতে কার সুবিধা সেটা ভোটের ফলেই জানা যাবে। তবে তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরই জেতার দাবি করছে। এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সাঁওতালি সাহিত্যিক কালীপদ সরেন।

আরও পড়ুনঃ জেলাশাসক দফতরের সামনে অবস্থানে অগ্নিমিত্রা

বিজেপির প্রার্থী ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন রেডিওলজিস্ট বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রণত টুডু। সিপিএমের প্রার্থী সোনামণি টুডু বান্দোয়ানের কুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্যা। সোনামণি নিজের গ্রাম বান্দোয়ানের আসনপানিতে একটি হোম স্টে চালান। এছাড়াও সমাজবাদী পার্টি, এসইউসিআই, আইএসএফ, ঝাড়খণ্ড পিপলস পার্টি সহ কয়েকজন নির্দল প্রার্থীও আছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে ঝাড়গ্রাম আসনটি দখল করেছিল বিজেপি। তবে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম টিকিট না পেয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এবারও আসনটি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ আপের সিদ্ধান্ত: বাংলায় ভোট, ইন্ডিয়া জোটের যাকে হোক

অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম আসনে দলীয় প্রার্থী কালীপদকে জেতাতে সব রকম রণকৌশল প্রস্তুর রেখেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, উন্নয়ন ও বিবিন্ন পরিষেবা প্রাপ্তির ফলে এবার ভোটাররা তৃণমূলকেই জেতাবেন। বিজেপির দাবি, রাজ্যের শাসকদলের চরম দুর্নীতি, বালিচুরি, চাকরি চুরি, সন্দেশখালির নির্যাতন এসবের কারণে ভোট পাবে না তৃণমূল। আদিবাসী সংরক্ষিত ঝাড়গ্রাম লোকসভার ভোটার সংখ্যা ১৭,৭৯,৭৭৫ জন (পুরুষ: ৮,৯,০,০৫১, মহিলা: ৮,৮,৯,৭২৪, তৃতীয় লিঙ্গ: ১৯)। মোট ভোটকেন্দ্র: ২০১৮। মোট ভোট কর্মী: ৯,৬৮৬ জন। আদিবাসী সংরক্ষিত ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে ৭টি বিধানসভা। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, বিনপুর (এসটি) ও নয়াগ্রাম (এসটি) এই চারটি বিধানসভা ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত।

এ ছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ও শালবনি এবং পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান (এসটি) এই বিধানসভাও ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। শনিবার সকাল সাতটায় ভোটগ্রহণ শুরু। প্রতি বুথে থাকবে আটজন সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।