চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
মড়া উপর খাঁড়ার ঘা! পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের (Ghatal Flood) বন্যা পরিস্থিতির অল্প উন্নতি হচ্ছিল, তারই মাঝে ফের শুরু হয়েছে নিম্নচাপ জনিত বৃষ্টি। বুধবার থেকে শুরু হওয়া অবিরত বৃষ্টিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ঘাটালবাসী। এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় ঘুম উড়েছে ঘাটালের ব্যবসায়ী ও পুজো উদ্যোক্তাদের।
বন্যার কারণে এমনিতেই পুজোর বাজার পুরোপুরি বন্ধ ঘাটালে। এই পরিস্থিতিতে জল কমলে জনজীবন কিছুটা ছন্দে ফিরতে পারে আশা করেছিলেন ঘাটালবাসী। কিন্তু ফের নিম্নচাপ ও বৃষ্টির কারণে আতঙ্কে তাঁরা। ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছিল। যদিও শহরে এখনও অনেক জায়গায় কোমর সমান জল। কোথাও ৬/৭ ফুট জলের তলায়। নৌকায় চলছে যাতায়াত। ঘাটাল শহর ও গ্রামের একাধিক পুজো মণ্ডপ এখনও জলের নিচে। সংকটে প্রতিমা শিল্পীরাও। ফলে চিন্তায় পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। বন্যার কারণে চিন্তায় ব্যবসায়ীরাও। এখনও শুরুই হয়নি পুজোর বাজার। ঘাটাল শহরের শুকচন্দ্রপুর, রামচন্দ্রপুর, চাউলি, সিংহপুর, বানেশ্বর মন্দির, তিনের পল্লি, ছয়ের পল্লি, সাতের পল্লি, গ্রামীণ এলাকার মধ্যে মনসুকার দীর্ঘগ্রাম, যদুপুর, দেওয়ানচক একাধিক এলাকায় জল রয়েছে। ঘাটাল পুর শহরের ১২টি ওয়ার্ডেই জল রয়েছে। ঘাটাল, দাসপুরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিও জলমগ্ন।
ঘাটালবাসীর জন্য এই জলযন্ত্রণা নতুন নয়। কিন্তু এই বছর বন্যায় ব্যাপকতা অনেকটাই বেশি। টানা বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জলাধারের ছাড়া জলে শিলাবতী, রূপনারায়ণ, কংসাবতী, ঝুমি নদী-সহ বিভিন্ন খাল ফুলে উঠেছিল। তারপরেই জল উপচে ও বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর দিনকয়েক আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায় ধীরে ধীরে কমছিল বন্যার জল। নদী ও খালগুলির জলস্তর কমছিল। রাস্তা থেকেও জল নামছিল অনেক জায়গায়। তারই মধ্যে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ৪৮ ঘন্টা ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলায়। নতুন করে এই বৃষ্টি ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ফের ঘোরতর করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কায় ঘাটালবাসীরা।