চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
Ghatal Flood: ঘাটালে ফের বন্যা পরিস্থিতি। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে দিন কয়েকের প্রবল বর্ষণে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে ঘাটাল (Ghatal) সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Midnapore) একাধিক ব্লকে। প্লাবিত কেশপুর, চন্দ্রকোনার একাধিক এলাকা। শনিবার ও রবিবার বাঁধ ভেঙে জল ঢোকে একাধিক এলাকায়। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় সোমবার থেকে বিভিন্ন স্থানে জল কমছে বলে জান গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিশেষ উন্নতি হয়নি ঘাটালে (Ghatal Flood)। (Ghatal) বরং একাধিক এলাকায় জল বৃদ্ধির খবর মিলেছে।
দ্বিতীয় বন্যার পর এক মাসও কাটেনি। জেলায় গত বন্যার জল কমলেও নদী, খালবিলগুলি এখনও টইটম্বুর। সব জায়গায় বাঁধ মেরামতির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে দানার কারণে গত দুইদিনে প্রবল বর্ষণ হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। তারই ফলে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনা-সহ বিভিন্ন এলাকায়। শনিবার কেশপুরের কুবাই, পারাং ও তমাল নদীর বাঁধ চার জায়গায় ভেঙে আনন্দপুর, মুসবাগান, ইছাইপুর এলাকা। রবিবার জলের চাপে চন্দ্রকোনা-১ নম্বর ব্লকের ভবানীপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙেও প্লাবিত হয় বহু এলাকা। গত বন্যার পর সদ্য ভেঙে যাওয়া বাঁধটি মেরামত করা হয়েছিল।
ঘাটালে বন্যা
অন্যদিকে দানার কারণে বিপুল বৃষ্টির জেরে মরশুমের তৃতীয় বন্যার মুখোমুখি ঘাটাল। পুনরায় বৃষ্টি না হওয়ায় চন্দ্রকোনা, কেঠিয়া এলাকায় জলস্তর নামতে শুরু করলেও ঘাটাল, মনশুখা এলাকায় এখনও জল বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ঘাটালের এসডিও সুমন বিশ্বাস। তিনি আরও জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দল, পুলিশ, মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার বেলা ১২ টায় শিলাবতী নদীর জলস্তর বাঁকায় ১৩.৮৪ মিটার, গাদঘাটে ৮.০৪ মিটার। কাঁসাই নদী কলমিজোরে ৯.২২৫ মিটার দিয়ে বইছে। বারংবার বন্যার কবলে পড়ে কার্যত হতাশ ঘাটালের সাধারণ মানুষ। এমনকি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও তাঁদের কন্ঠে হতাশার সুর। তাঁরা উৎসবের মরশুমে দিন গুণছেন জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তির অপেক্ষায়।