Ghata Flood Dana: তৃতীয় বন্যার মুখোমুখি ঘাটাল! দানায় ফের বন্যা পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরে

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
Ghatal Flood Dana: ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) কারণে ফের বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি ঘাটাল (Ghatal Flood)। ঘাটালবাসীর জল যন্ত্রণার যেন সমাপ্তি নেই! দানার (Cyclone Dana) কারণে হওয়া প্রবল বর্ষণে মরশুমে তৃতীয় বার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঘাটালের (Ghatal) বিভিন্ন এলাকায়। ঘাটাল ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Midnapore) জেলার চন্দ্রকোনা, মানিককুন্ডু, আনন্দপুর থানার একাধিক এলাকা জলের তলায়। চন্দ্রকোনা থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার রাজ্য সড়ক ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে ফুঁসছে জেলার নদীগুলিও।

আরও পড়ুনঃ ইজরায়েলের পাশে নেই আমেরিকা! শনিবারের হামলার পর কোন দিকে মোড় নেবে বাইডেন?

জেলায় গত বন্যার জল কমলেও নদী, খালবিলগুলি এখনও টইটম্বুর। সব জায়গায় বাঁধ মেরামতির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে দানার কারণে গত দুইদিনে প্রবল বর্ষণ হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। তারই ফলে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনা-সহ বিভিন্ন এলাকায়। আনন্দপুর থানার কুড়ুয়িরা, আসকান্দা, বসন্তপুর পাঁচখুরি, চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর, মহোবনি বদরা, বান্দিপুর ও মানিককুন্ডু জিপি এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে বন্যার জল। একই পরিস্থিতি ঘাটালের বিভিন্ন এলাকাতেও। শনিবার চন্দ্রকোনার প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া। বৃষ্টির জলে ইতিমধ্যেই জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে নদীগুলির। বিকেল ৪টে পর্যন্ত শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাঁকায় শিলাবতী নদীর জল বইছে ১৫.০৮ মিটার দিয়ে। গাদঘাটে জলস্তর ৬.৬৮ মিটার। রূপনারায়ণের জলস্তর বন্দরে ৪.৬১ মিটার, রাণীচকে ৩.৩৮ মিটার। নদীর জল আরও বৃদ্ধি পেলে ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মাসখানেক আগেই প্রবল বর্ষণে ও ডিভিসির ছাড়া জলে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, বাঁকুড়া, হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলা। তার আগে আগস্ট মাসেও বন্যার মুখোমুখি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল-সহ বিভিন্ন এলাকা। এবার ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে দিন দু’য়েকের টানা বৃষ্টিতে তিন মাসের মধ্যে তৃতীয়বার বন্যার মুখোমুখি ঘাটালবাসী। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা ছিল আগে থেকেই। ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে সতর্ক ছিল প্রশাসনও। ঝড়ের প্রভাব এই রাজ্যে বিশেষ না পড়লেও প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজার হাজার একর জমির ফসল, সব্জি। ভেঙেছে বহু মাটির বাড়ি। এবার বর্ষণের কারণে ফের তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।