রাজীব ঘোষ: লাগাতার বর্ষণে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা জলমগ্ন (ghatal flood) হয়ে পড়েছে। এমনিতেই ঘাটাল বন্যাপ্রবণ এলাকা। বারবার ঘাটাল মাস্টার (ghatal master plan) প্ল্যানের দাবি জানানো হয়ে থাকে। এখনো পর্যন্ত ঘাটালের বন্যা সমস্যা চিরতরে সমাধান করার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ঘাটাল মহকুমার (ghatal subdivision) মূল নদী ঝুমি নদী।
আরও পড়ুনঃ বর্ষাকালে ফোন জলে পড়ে গেলে কী করবেন?
গত ২-৩ দিন ধরে প্রবল বর্ষণের ফলে ঝুমি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এই ঝুমি নদীর ওপরে যে সমস্ত ব্রিজ রয়েছে, তার মধ্যে ১২টি কাঠের ব্রিজ জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। প্রচুর মানুষ জল বন্দী হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত। তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা।
ঘাটাল মহকুমার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মনসুকা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার এই মুহূর্তে বিপদগ্রস্ত। পাশাপাশি ঘাটাল এলাকার ১৫ হাজার পরিবার বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক, সুমন দোলুইরা বলেন, ২-৩ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে ঘাটাল মহকুমার ঝুমি নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। যার ফলে এই সমস্ত এলাকার ১২টি কাঠের ব্রিজ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গা জলমগ্ন।
মনসুকা সহ ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের যাতায়াতের ভরসা এখন নৌকা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, হঠাৎ প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। আমাদের নৌকাগুলো ঠিক করা সম্ভব হয়নি।এই প্রসঙ্গে সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন বিশ্বাস বলেন, গত ২-৩ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে ঘাটাল মহকুমার ঝুমি নদীর ওপরে বিভিন্ন জায়গায় ১২টি কাঠের ব্রিজ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। যার ফলে মানুষ বিপদগ্রস্ত।
আরও পড়ুনঃ আজ ৩ আগস্ট জঙ্গলমহলের চার জেলার আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে?এখানে দেখে নিন
তবে প্রশাসনের তরফে মানুষের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নজর রাখা হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির ওপর। বিপদগ্রস্ত মানুষকে রক্ষা করাই প্রশাসনের প্রথম দায়িত্ব এবং কর্তব্য।