Jhargram: ডাইন দেগে টাকা আদায়, পুলিশ প্রশাসনে নালিশ বৃদ্ধের

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার: ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক বৃদ্ধকে গ্রাম ছাড়া করার নিদান দিয়েছিল গাঁয়ের মাতব্বররা। তার কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে আশি হাজার টাকা আদায় করা হয়েছিল। ওই বৃদ্ধের বাড়িতে অপদেবোতা রয়েছে এমন কথা গোটা গ্রামে রটিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় দুমাস ধরে চলতে থাকে নানা ধরনের মানসিক নির্যাতন ও গ্রাম ছাড়া করার হুমকি। শেষ পর্যন্ত উপায়ান্তর না দেখে ঐ বৃদ্ধ কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামের(Jhargram) জেলাশাসক এবং ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ পত্র জমা দেন।

ঘটনাটি বেলপাহাড়ি(Belpahari) থানার ভুলাভেদা(Bhulaveda) অঞ্চলের বিড়গি(Birgi) গ্রামের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই গ্রামের বছর ৬২টির জগদীশ হাঁসদা তাঁর স্ত্রী ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মাটির বাড়িতে থাকেন। সামান্য জমি জমায় চাষাবাদ করে তার সংসার চলে।

মাস দুয়েক আগে গ্রামের কিছু লোকজন জগদীশের এক ভাইয়ের সঙ্গে সালিশি বসিয়ে জগদীশকে ডাইনি অপবাদ দেন, বলা হয় জগদীশের বাড়িতে অপদেবোতার বাস রয়েছে। সেই কারণে গ্রামের একের পর এক শিশু অসুস্থ হচ্ছে। গ্রামবাসীদের নানা ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, এমন নিদান তুলে জগদীশকে জোর করে মাস দেড়েক আগে ওড়িশায় এক জানগুরুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই জানগুরু নিদান দেন যাজযজ্ঞ করে দোষ কাটাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ আনোয়ার আলি সবুজ মেরুন জার্সিতে মোহনবাগানেই খেলবেন, ফুৎকারে উড়লো বাজাজের টুইট

এজন্য গ্রামের একাংশ বাসিন্দা জোর করে জগদীশকে 56000 টাকা খরচ করতে বাধ্য করেন। তারপর নানা কারণে তার কাছ থেকে সব মিলিয়ে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। কিন্তু তাতেও গ্রামবাসীদের লোভের আঁশ মেটেনি। বুধবার গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে জগদীশ এর কাছ থেকে আরও এক লক্ষ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছিল, তার ভাই ও গ্রামের মাতব্বররা।

খবর পেয়ে পুলিশ ওই গ্রামে যায় এবং দুপক্ষকে বেলপাহাড়ি থানায় ডেকে পাঠানো হয়। বেলপাহাড়ি এসডিপিও শ্রেয়া সরকার বলেন, “খবর পেয়েই দুপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এটা ঠিক ওই বৃদ্ধকে উড়িষ্যায় নিয়ে গিয়ে এক যানগুরুর কাছে যাগযোগ্য করানো হয় এজন্য টাকাও খরচ করানো হয়। ফের তার কাছে টাকা দাবি করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দেখা গিয়েছে এটি দুই ভাইয়ের বিবাদের বিষয় এক ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে অন্য ভাইকে ডাইনি সাব্যস্ত করেছেন গ্রামবাসীরা তবে পুলিশ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করায় আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গ্রামবাসীদের আলোচনার ভিত্তিতে তারা কি সিদ্ধান্ত নিলেন সেটা থানা কে জানাতে বলা হয়েছে। তবে এদিন দুপক্ষের কেউই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।