Midnapore: গ্রামের ধানের জমিতে চাষের কাজ চলছে। না, কোনো কৃষক বা চাষী চাষ করতে নামেননি। চাষ করতে নেমেছেন ইঞ্জিনিয়ার, কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর(Midnapore) জেলার মহিষাদল এর তাজপুর গ্রামের।
যারা এদিন মহিষাদল এর তাজপুর গ্রামে জমিতে ধান চাষের কাজে অংশ নিলেন, তাদের কেউ হলদিয়া রিফাইনারি, হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে উচ্চপদে কর্মরত। কেউ আবার কলকাতার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চাকরি করছেন। এছাড়াও রয়েছেন শিক্ষক থেকে কলেজ পড়ুয়া অনেকেই। এই উদ্যোগটি যার পরিচালনায় নেওয়া হয়েছে, তিনি হলেন উত্তরপাড়া- কোতরং পুরসভার কর্মী প্রলয় দাস। তার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের(Midnapore) মহিষাদলে।
তিনি ‘বিদ্যাসাগর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ তৈরি করেছেন। যেখানে আশ্রমিক পরিবেশের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করানো হয়। এখান থেকে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে অনেকেই ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হয়েছেন। এদিন মহিষাদলের চাষের জমিতে ধান চাষ করতে এসেছেন ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়া পুরনো পড়ুয়ারাও।
এই প্রসঙ্গে যার উদ্যোগে এই মহান কর্মকান্ড হচ্ছে, সেই প্রলয় দাস বলেন, ‘আমি আনন্দিত। এই প্রতিষ্ঠান থেকে যারা পুরনো পড়ুয়া চলে গিয়েছিলেন, তারাও আজ চাষের কাজে হাত লাগিয়েছেন। এর ফলে জৈব পদ্ধতিতে চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা যাবে।’ জৈব পদ্ধতিতে চাষের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন মেকানিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত বিভাগের বহু ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদেরই একজন ইঞ্জিনিয়ার জানালেন, ‘আমি বর্তমানে কলকাতা বিমানবন্দরে কর্মরত। কিন্তু চাষ না করলে খাব কি করে’?
আরও পড়ুনঃ ক্রিজে ব্যাটসম্যানদের নাচাতে পাঁচ স্পিনার নিয়ে টেস্ট দল ঘোষণা এই দেশের
তাজপুর সংলগ্ন গেঁওখালি হাই স্কুল এবং স্থানীয় তাজপুর হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকেরা জানান, প্রলয়ের এই উদ্যোগ মহান। বহু ছাত্র-ছাত্রীকে তার সংস্থা আশ্রমিক পরিবেশে থাকা-খাওয়া এবং শিক্ষা দিচ্ছে। চাষের কাজে তার উদ্যোগকে উৎসাহিত করতেই আমরা অংশ নিয়েছি। শুধু তারাই নন, এলাকার মহিলারাও যথেষ্ট উৎসাহ নিয়ে প্রলয়ের এই উদ্যোগে শামিল হয়েছেন। তাদের কথায়, এখন গ্রামে ধান রোয়ার লোক পাওয়া যায় না। মাঠে অনেক জল। কিন্তু চাষ তো করতেই হবে, না হলে ভাত জুটবে কি করে?