স্বপ্নীল মজুমদার (ঝাড়গ্রাম): তৃণমূলের অত্যাচারে এখন হাতিও পাগল হয়ে গিয়ে জঙ্গলমহলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার নয়াগ্রামের খড়িকামাথানি চকে নির্বাচনী প্রচার সভায় এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি (BJP) নেতা তথা দুর্গাপুর লোকসভা আসনের গেরুয়া প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
এদিন ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনের দলীয় প্রার্থী প্রণত টুডুর সমর্থনে নির্বাচনী সভা করতে আসেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে শুনতাম নয়াগ্রাম জঙ্গল এলাকায় নকশালদের অত্যাচার। তারপর সিপিএমের অত্যাচার। তারপর তৃণমূল এল। এখন তৃণমূলের সঙ্গে হাতিরও অত্যাচার চলছে। মানুষ তৃণমূলের অত্যাচারে পাগল হয়ে গেছে। তৃণমূলের অত্যাচারে হাতিও পাগল হয়ে গেছে। বাড়িঘর ভাঙছে। মানুষ মারছে। একে আমরা গরিব লোক। কখন বৃষ্টি হবে সেই আশায় চাষবাস হয়। নরেন্দ্র মোদী চার বছর ধরে চাল দিচ্ছেন বলে খেয়ে বেঁচে আছি। না হলে কি অবস্থা হত ভগবানই জানেন। তৃণমূলের সরকারকে না সরালে জঙ্গলমহলে উন্নয়ন হবে না।’’
গতবারের মত এবারও ঝাড়গ্রাম আসনে বিজেপি প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন করে দিলীপ বলেন, ‘‘এবার প্রধানমন্ত্রী একক ভাবে বিজেপির ৩৭০ টি আসন চেয়েছেন। আমরা চারশো পারের ডাক দিয়েছি। উনি আপনার মূল্যবান ভোট চেয়েছেন। আমি নিবেদন করতে এসেছি। আমি এই লোকসভার বাসিন্দা। তাই আমারও দায়িত্ব আরও বেশি ভোটে জিতে এই লোকসভা যাতে মোদীজিকে উপহার দিতে পারি। যাতে ৩৭০ আসনের সংখ্যা পূরণ হয়। বকেয়া উন্নয়ন কাজ যাতে মোদী করতে পারেন। এবার আরও বেশি ভোটে জিতে মোদীজিকে উপহার দিতে পারি।’’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ করে দিলীপ বলেন, ‘‘যারা একশো দিনের টাকা, শৌচালয়ের টাকা, আবাসের টাকা খেয়েছে তারা যাবে জেলে। ৪ জুনের পর নতুন সরকার হবে। তারপর দেখবেন ইডি, সিবিআই তদন্ত কেমন করে। কার কার কোমরে দড়ি পড়ে।’’ ঝাড়গ্রাম লোকসভার নয়াগ্রাম বিধানসভার কুলিয়ানা গ্রামে দিলীপের আদিবাড়ি। প্রায় পাঁচ মাস পর এদিন নিজের গ্রামের বাড়িতে আসেন দিলীপ। সেখানে মা, ভাই, ভাইপো সহ পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটান। মধ্যাহ্নভোজ সেরে বিকেলে খড়িকামাথানির দলীয় সভায় যান বিজেপি নেতা।