স্বপ্নীল মজুমদার~যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার ম্যানেজার এবং সাইট ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃত মহেন্দ্র মিত্তল ঝাড়গ্রাম(Jhargram)শহরের জামদার বাসিন্দা। অপর ধৃত ডাক্তার সরেনের বাড়ি ঝাড়গ্রাম থানার জমিদারডাঙা গ্রামে। বাড়ি থেকেই রবিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুই অভিযুক্তকে সোমবার ঝাড়গ্রাম সিজেএম আদালতে(CJM Court) তোলা হলে বিচারক দু’জনকেই তদন্তের স্বার্থে ৭ দিন পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
আদালত চত্বরে অভিযুক্ত ম্যানেজার মহেন্দ্র মিত্তল এবং সাইট ম্যানেজার ডাক্তর সোরেন জানায়, ঘটনার সময় তারা সেখানে ছিল না। ডাক্তার বলে, ‘‘আমরাই পুলিশকে খবর দিই। অথচ পুলিশ আমাদেরই মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করল।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ জুন ঝাড়গ্রাম শহরের বেনাগেড়িয়ার বাসিন্দা সৌরভ সাউ এবং তার বন্ধু অক্ষয় মাহাতো স্কুটি নিয়ে খাটখুরার(Khatkhura) দিকে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রাস্তা তৈরির জায়গাতে ঠিকাদার সংস্থার নির্মাণ সামগ্রী বোঝাই গাড়ি ছিল। ওই দুই বন্ধু সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় খাটকুড়ার লোকজন ‘চোর চোর’ বলে তাড়া করে। তারা প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করলে ঝাড়াগেড়িয়া দিকের গ্রামের লোকজন তাদের ঘিরে ফেলে। দুই গ্রামের লোকজন তাদের বেধড়ক মারধর করে।
আরও পড়ুনঃ “মুসলিম রাষ্ট্রে এমনটা হয়েই থাকে” চোপড়াকান্ডে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক
পরে জামবনি থানার পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে ন’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার সকালে মারা যান সৌরভ। তার বন্ধু অক্ষয় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘‘মারধর ও খুনের চেষ্টার মামলায় এদিন খুনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাদের সাতদিন পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। ঘটনায় আরও কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, ঘটনা ২২ জুন ঘটলেও সৌরভের মা প্রতিমা ২৭ জুন জামবনি(Jamboni)থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। সৌরভের মৃত্যুর পরই তদন্তে নেমে পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।