স্বপ্নীল মজুমদার~ঝাড়গ্রাম জেলায় হু-হু করে বাড়ছে প্রসূতি মৃত্যুর (Maternal Death)সংখ্যা। গত ছ’মাসে জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ১১ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনের ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ৩ জন নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ও একজন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল জেলায় এসে বৈঠক করে গিয়েছে। কিন্তু তারপরও প্রসূতি মৃত্যুতে লাগাম পরানো যায়নি।
শুধু প্রসূতি মৃত্যু নয়, গত এক বছরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ জন মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে। যা চিকিৎসকদের একাংশের গাফিলতির কারণে হয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, জেলা সভাপতির অফিস ঘরে তালা দিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা
সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট প্রসব হয়েছে ৮০৯৯টি। এর মধ্যে ৫৪১২ নর্মাল ডেফিভারি। ২৫৮১টি সিজ়ার কেস। মৃত শিশু প্রসব হয়েছে ১৫০ টি। ৭৯৪৯টি শিশুর সুস্থ ভাবে প্রসব হয়েছে। প্রসবকালে ৭ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এপ্রিল মাসে দু’জন ও মে মাসে একজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুস্থ সন্তান প্রসবের পর এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অভিযোগ, চিকিৎসক মদ্যপ অবস্থায় সিজ়ার করেছিলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, ‘‘রাজ্যের টিম এসে পরিদর্শন করে গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।’’