বিক্রম ব্যানার্জী: বাংলাদেশের অন্যতম হিন্দু নেতা তথা সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ও ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্মম অত্যাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে দীর্ঘ ফাটল তৈরি হয়েছে। বারংবার সেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নেমে এসেছে বিপদের কালো ছায়া। এহেন পরিস্থিতিতে ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বরাবর হিন্দু নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বললেও বাস্তবে অন্য চিত্র ধরা পড়ছে। এদিকে ভারতে(India) আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা জন্মভূমিতে অত্যাচারিত হিন্দুদের নিয়ে নানান বিবৃতি প্রকাশ করছেন। এমতাবস্থায় হাসিনার বক্তব্যগুলিকে ভারতের(India) শেখানো বক্তব্য বলে কটাক্ষ করেছেন বর্ষিয়ান সাংবাদিক দীনেশ কে ভোরা।
হাসিনার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভোরা জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী অন্য দেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা একজন ব্যক্তি কখনই নিজ দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিবৃতি দিতে পারেন না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই নিয়ম ভেঙেছেন। বর্ষিয়ান সাংবাদিকের দাবি, শেখ হাসিনা যা বলছেন তা একটাও তার নিজের বক্তব্য নয়। আসলে মোদি সরকার হাসিনার কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী এসব কথা বলিয়ে নিচ্ছে। তার মতে, এই ধরনের ঘটনা আগুন নিয়ে খেলার সমান। এর আগে নেপালের সাথেও ঠিক একই রকম আচরণ করেছিল মোদি সরকার।
নেপালের সাংবিধানিক নিয়মে হস্তক্ষেপ করে রাষ্ট্রটির সাথে দূরত্ব তৈরি করেছিল ভারত। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নেপালের মানচিত্রে সংসদ দেখিয়ে বিতর্ক তৈরি করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভোরা আরও জানান, নেপাল সরকার ভারতকে বেশিদূর এগোনোর সুযোগ দেয়নি। যার বদলা নিতে নাকি ভারত নেপালে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো বন্ধ করে দেয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই নাকি নেপালের জনগণ ভারতকে ঘৃণা করতে শুরু করে।
অভিজ্ঞ সাংবাদিকের শেষ সংযোজন, নেপালের থেকেও বড় অপরাধ বাংলাদেশের সঙ্গে করছে ভারত। শেখ হাসিনাকে পুতুল বানিয়ে নিজেদের স্বার্থ সুনিশ্চিত করছে তারা। হাসিনাকে এতটাই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নানান বিরূপ মন্তব্য করছেন। ভারতকে বারংবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে বারণ করা হলেও তারা কথা শুনতে চাইছে না। এতে দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকবে বলেই মনে করছেন সাংবাদিক ভোরা।
আরও পড়ুন: ভারতের কাছে হার মানতে নারাজ পাকিস্তান! চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে অবস্থান জানাল পিসিবি