বিক্রম ব্যানার্জী: দলের অন্দরে একপক্ষ আচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বহুবার নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন তিনি। বুধবারই ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে(Humayun Kabir) শোকজ করে তৃণমূল। সেই সাথে দল বিরুদ্ধ বেফাঁস মন্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে 3 দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয় তাকে(Humayun Kabir)। পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তুলে নেওয়া হয়েছে বিধায়কের(Humayun Kabir) এসকর্টের নিরাপত্তা। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুলে সব হারিয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় হাজির হন হুমায়ুন(Humayun Kabir)। মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ করতেই মমতার রোষের মুখে পড়লেন তিনি(Humayun Kabir)।
রাজ্য রাজনীতিতে বিদ্রোহী চরিত্র হিসেবে পরিচিত ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে চেয়েছিলেন। সেই মত বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন হুমায়ুন। এদিকে অন্যান্য তৃণমূল বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে ফিরে যাচ্ছিলেন। তবে দিদির সাথে দেখা হতেই যে ভৎসনার মুখে পড়তে হবে এ কথা স্বল্প হলেও মাথায় খেলেছিল তার। যেখানে বারংবার গলা উঁচিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক জানিয়েছেন, রাজনীতিতে তিনি কাউকে ভয় পান না। আর তাকেই কিনা মুখ্যমন্ত্রীর ভৎসনার মুখে পড়তে হলো।
দিদি মমতার সাথে দেখা করবেন বলে বন্ধ দরজার ফাঁক থেকে তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা যায় ‘দিদি কেমন আছেন?’ এই প্রশ্নের পরই তৃণমূল নেতার জন্য অপেক্ষা করছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম উত্তর। মুখ্যমন্ত্রী কেমন আছেন এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই ধমক খেতে হলো হুমায়ুনকে। পুরনো সৈনিকের প্রশ্নের জবাবে একেবারে কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে শোকজের জবাব দাও।’ দিদির মেজাজ বুঝে কোনও মতে ঘাড় নেড়ে সেখান থেকে হাওয়া হয়ে যান হুমায়ুন কবীর। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে দুবার দিদি ডাক শোনা যায় তার গলায়। বলা বাহুল্য, এই ঘটনার পর আগামী কয়দিন বিধানসভায় হুমায়ুনের উপস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। এদিকে জবাবদিহির সময়ও শেষ হতে চলল। সব মিলিয়ে, দলে ভরতপুরের বিধায়কের অবস্থান এক প্রকার প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে।