বিক্রম ব্যানার্জী: আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়ের কণ্ঠ রোধ করতে নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ! নিরাপত্তার ঘেরাটোপে কালো কাঁচে মোড়া গাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছিল তার জন্য। যাতে বেফাঁস কোনও মন্তব্য সংবাদমাধ্যমের সামনে বেরিয়ে না আসে তার জন্য পুলিশের আয়োজনের অন্ত ছিল না। এবার সেই অতিরিক্ত খাটনি থেকে পুলিশকে মুক্তি দিল আদালত(Sealdah Court)। জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে জেলে বসেই ভার্চুয়ালি আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন সঞ্জয়। যদিও শুনানি হবে রুদ্ধদ্বার কক্ষে।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়া খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় শুনানি চলছে আদালতে। শুনানি চলাকালীন প্রতিদিন প্রিজন ভ্যানে করে শিয়ালদহে আনা হচ্ছে সঞ্জয়কে। তবে আদালতে নিয়ে আসা ও শুনানি শেষে ফেরার পথে গাড়ির মধ্যে থেকে মুখ বাড়িয়ে দফায় দফায় আরজি কর কাণ্ড নিয়ে নানান বেফাঁস মন্তব্য করছেন সঞ্জয়। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে প্রতিবার গভীর চক্রান্তের কথা উল্লেখ করেছেন অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। সঞ্জয়ের গলায় বহুবার শোনা গেছে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নাম। প্রতিবার অভিযুক্তের মুখ বন্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ। ব্যবস্থা করা হয়েছে কালো কাঁচে ঢাকা গাড়িরও। এহেন আবহে বারংবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
পুলিশ আধিকারিকদের তুমুল সমালোচনার মধ্যেই অভিযুক্তের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার সেই আবেদনে সিলমোহর দিয়ে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে জেলে বসে শুনানিতে অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। তবে বিশেষ শর্তের ভিত্তিতে বিচারপতিদের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যেই ঘরে বসে শুনানিতে অংশ নেবেন সেটি সম্পূর্ণ বন্ধ ঘর হতে হবে। সেই সাথে ক্যামেরার সামনে তাকে একাই বসে থাকতে হবে। সঞ্জয়ের ঠিক সামনেই থাকবে আদালতের শুনানি পর্বের দৃশ্য। একইভাবে আদালতেও এক বিরাট স্ক্রিনে থাকবে অভিযুক্তের দৃশ্য অথবা ছবি এবং শোনা যাবে তার কণ্ঠস্বর। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পরই পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যবাসী। প্রশ্ন উঠছে, কোনও প্রভাবশালীকে বাঁচাতেই কি নতুন পথ বেছে নেওয়া হলো?
আরও পড়ুন: টিকিট কাটার ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম আনল কলকাতা মেট্রো, না জানলে সমস্যায় পড়বেন