Mandarmani Hotels: সমুদ্র তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল আদালত। মাথায় হাত মন্দারমণিতে হোটেল কর্তৃপক্ষের। যদিও আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজি নন মমতা। হোটেলে বুলডোজার না চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মন্দারমণি ওয়েলফেয়ার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বড় অনুরোধ করে বসেছে। তাঁদের দাবি, জনপ্রিয় এই টুরিস্ট এলাকায় কতগুলো হোটেল বৈধ ও অবৈধ, তা যাতে সরকার নিজে এসেই যাচাই করে যায়। তাহলে কর্তৃপক্ষের চাপ কমবে (Mandarmani Hotels)।
এ প্রসঙ্গে, অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি দেবরাজ দাস বলেছেন যে আমরা রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি যে এখানে কতগুলি হোটেল বৈধ এবং অবৈধ, তার একটি আনুষ্ঠানিক রূপরেখা তৈরি করা হোক। আমরা হোটেল মালিকরাও চাই সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলতে। এর দরুণ ভবিষ্যতে মন্দারমণিতে হোটেল বা রেস্তোরাঁ খোলায় অসুবিধা হবে না।
এ প্রসঙ্গে, মন্দারমণির সোনার বাংলা হোটেলের মালিক অভিষেক রায় চৌধুরীও জানিয়েছেন, হোটেলটি নির্মাণের সময় স্থানীয় প্রশাসনের যাবতীয় নথিপত্র নিয়েই তবে হোটেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ এখন বলা হচ্ছে যে অবৈধভাবে হোটেলটি গড়ে উঠেছে (Mandarmani Hotels)। তাই আমরা চাই সরকার কোনটা বৈধ কোনটা বেআইনি তার মাপকাঠি নির্ধারণ করুক রাজ্য সরকার নিজেই।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মন্দারমণিতে ২২২টি হোটেল রয়েছে। এখনও প্রায় ৩৩ হোটেল তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি হাইকোর্টেও বিচারাধীন। আগামী শুক্রবার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: Lashmir Bhandar Payment: 2,000 টাকা করে দিতে হবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে! চিঠি গেল রাজ্যের কাছে
ঝামেলা শুরু এখানে
সম্প্রতি, আদালত বেআইনিভাবে তৈরি হোটেল ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ জারি করার পরেই, জেলা প্রশাসন মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল ভেঙে দেওয়ার নোটিশ পাঠায় (Mandarmani Hotels)। এ নোটিশ পেয়ে হোটেল মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এমন সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের বুলডোজার না ঘোরানো সিদ্ধান্তের পর হোটেল মালিকরা একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।