TMC: রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে ছয়টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন (By Election 2024)। ফলাফল প্রকাশ এখনও বাকি। তারই মধ্যে গুঞ্জন, বড়সড় রদবদল হতে পারে তৃণমূলের (TMC) জেলাস্তরের নেতৃত্বে। যদিও শাসক দলের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চিকিৎসা শেষ করে রাজনৈতিক ময়দানে ফিরে আসতেই এই বিষয়ে অগ্রসর হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকি জেলাস্তরে নেতৃত্বের এই রদবদলের সুপারিশও অভিষেক করেছিলেন বলে খবর৷
সূত্রের খবর, রাজনৈতিক তথ্য বিশ্লেষক সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জেলাস্তরে নেতৃত্বের রদবদলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রী সেই বিষয়ে সম্প্রতি সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এখন সুব্রত বক্সিকে এই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এখন তৃণমূলের জেলাস্তর থেকে ব্লক স্তরের একাধিক বদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
আরও জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া একাধিক সাংসদ একই সঙ্গে সংগঠনের দায়িত্ব সামলাতে নারাজ। সংসদ অধিবেশন সহ একাধিক জনপ্রতিনিধিমূলক দায়িত্বের জন্য তাঁদের অনেকটা সময় কাটে এলাকার বাইরে। ফলে সংগঠনে সময় দেওয়ার মতো সময়েরও অভাব ঘটে। সূত্রের খবর, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এবার জনপ্রতিনিধি ও দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব আলাদা ভাবে ভাগ করতে চাইছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, সায়নী ঘোষদের মতো অনেকেই একই সঙ্গে সাংসদ ও সংগঠনের পদ সামলান। এক্ষেত্রে গুঞ্জন সত্য হলে, দলের সাংগঠনিক পদ থেকে তাঁদের অব্যহতি দিয়ে নতুন মুখ আনা হতে পারে। এছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনকালে বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের একাধিক জায়গায় শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেআব্রু হয়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছে দলীয় নেতৃত্ব। সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নির্মূল করতেও কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে দল। একই সঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেও ঘুটি সাজাতে চাইছে শাসক দল।