Pakistani Immigrants: স্বাধীনভাবে বাঁচতে জন্মভূমি ছাড়তে মরিয়া 40 শতাংশ পাকিস্তানি

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

বিক্রম ব্যানার্জী: কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?’ এবার সেই কবিতার লাইন ধরা করে বলতে হচ্ছে স্বাধীন পাকিস্তানের মাটিতে পরাধীনতার মধ্যে দিন কাটছে কয়েক কোটি জনগণের(Pakistanis)। হঠাৎ কেন এই প্রসঙ্গ? বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদি হামলা থেকে শুরু করে চরম অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও শিক্ষার সুযোগের অভাবে প্রায় 40 শতাংশ নাগরিক নিজের জন্মভূমিতেই (পাকিস্তান) থাকতে চাইছেন না।

আরও পড়ুন: বায়ু দূষণে জেরবার পাকিস্তান, সংকট এড়াতে বৃষ্টির জন্য নামাজের আহ্বান পাক প্রধানমন্ত্রীর

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম যৌথভাবে করাচির এক অনুষ্ঠানে গবেষণালব্ধ এই তথ্যগুলি তথ্য তুলে ধরেছে। পাকিস্তানের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন রাবিয়া জাভেরি আগা জানান, ‘কড়া নিরাপত্তা ও কঠোর দমন পীড়ন নীতি সত্ত্বেও অবৈধ অভিবাসী দিন দিন বেড়েই চলেছে। গ্রীক উপকূলের কাছে 300 পাকিস্তানি নিহত হওয়ার পরই কঠোর আইন এবং তা প্রণয়নের ব্যবস্থা গ্রহণের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অভিবাসীদের আটকে রাখা যাচ্ছে না। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অবৈধ অভিবাসন বাড়ছে।’

গবেষণায় উঠে আসা তথ্য দেখে চক্ষু চড়ক গাছ হয়েছে অনেকেরই। এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর কারাতুল আইন মারি বলেন, গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তা গুরুতর সমস্যার আভাস দিচ্ছে। গবেষণায় দেশের যে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি উঠে আসছে তা দ্রুত সমাধানের কার্যকরী কৌশল গঠন করা প্রয়োজন। সিনেট মানবাধিকার কমিটি এই সমস্যা গুলি শক্ত হাতে সমাধান করার চেষ্টা করবে। গবেষণা বলছে, গোটা ইউরোপে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য দায়ী দেশ গুলির মধ্যে 5 নম্বরে উঠে এসেছে পাকিস্তান।

যদিও 2022 সালে অবৈধ অভিবাসনের শীর্ষ দশ দেশের তালিকার আশেপাশেও ছিল না পাকিস্তান। কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটে পরের বছরই অর্থাৎ 2023 সালের মাঝ বরাবর। এ বছর রেকর্ড হারে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশের তকমা পেয়েছে পাকিস্তান। জানা যায়, শুধুমাত্র 2023 বর্ষের ডিসেম্বরের মধ্যে 8 হাজার 780 জন পাকিস্তানি চোরাপথে অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি দেয়। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই দুবাই, মিশর ও লিবিয়া হয়ে ইউরোপে ঢুকেছিল।