Health Facts: কেন মানুষ শীতে বেশি একাকি এবং দুঃখি বোধ করে? জেনে নিন উত্তর

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

Health Facts: শীতের ঋতু অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই ঋতুতে দিন ছোট হয় এবং রাত বড় হয়। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে অনেক শারীরিক পরিবর্তনও ঘটে। পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি হল এই ঋতুতে মানুষ একাকী বোধ করতে শুরু করেন। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এমন হয়? আসুন জেনে নিই এই প্রশ্নের উত্তর।

এটাই সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি)

শীতে মন খারাপ করা নতুন কিছু নয়। একে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (SAD)ও বলা হয়। এটি এক ধরনের বিষণ্নতা যা বছরের নির্দিষ্ট ঋতুতে, বিশেষ করে শীতকালে ঘটতে থাকে।

আরও পড়ুন: Mudra Loan New Limit 2024: চাইলেই 20 লক্ষ টাকা লোন দেবে কেন্দ্র, এইভাবে আবেদন করতে হবে

কেন SAD হয় (Health Facts)?

শীতে SAD এর অনেক কারণ থাকতে পারে-

  1. সূর্যের আলোর অভাব- শীতকালে দিন ছোট হয় এবং সূর্যের আলো কম থাকে। সূর্যের আলো সেরোটোনিন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি একটি হরমোন, যা আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করে। সূর্যের আলো কমে গেলে সেরোটোনিনের মাত্রাও কমে যায়, যা আমাদের বিষণ্ণ বোধ করাতে পারে।
  2. মেলাটোনিনের বৃদ্ধি- সূর্যের আলো কমে গেলে আমাদের শরীরে মেলাটোনিন নামক হরমোনের উৎপাদন বেড়ে যায়। এই হরমোন ঘুম আনতে সাহায্য করে, তবে শীতকালে মেলাটোনিনের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে আমরা আরও ক্লান্ত বোধ করতে পারি এবং বেশি ঘুমাতে পারি।
  3. শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া- শীতকালে ঠাণ্ডার কারণে মানুষ ঘরের মধ্যে থাকতে পছন্দ করেন, যার কারণে শারীরিক পরিশ্রম কমে যায়। শারীরিক কার্যকলাপ আমাদের মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।
  4. সামাজিক যোগাযোগ হ্রাস- শীতকালে, ঘরে থাকার কারণে অনেকেই বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারেন না, যা সামাজিক সংযোগ হ্রাস করে। কারণ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সামাজিক সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

SAD (Health Facts) এর লক্ষণ কী কী?

SAD এর কিছু সাধারণ লক্ষণ হল-

  • বিষণ্ণ বোধ করা
  • শক্তি কমে যাওয়া
  • খুব বেশি ঘুম বা খুব কম ঘুম পাওয়া
  • খিদে পরিবর্তন
  • ওজন বৃদ্ধি
  • বিরক্তি
  • ফোকাস করতে অসুবিধা
  • সামাজিক যোগাযোগের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া

SAD (Health Facts) থেকে মুক্তির উপায়

  1. লাইট থেরাপি- লাইট থেরাপিতে একটি বিশেষ ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়, যা সূর্যালোকের মতো। এটি সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
  2. শারীরিক কার্যকলাপ- নিয়মিত ব্যায়াম আপনার মেজাজ উন্নত করতে পারে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে।
  3. স্বাস্থ্যকর ডায়েট- স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং আপনার মেজাজও উন্নত হবে।
  4. সামাজিক ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকা- বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটান।
  5. ভিটামিন ডি- ভিটামিন ডি সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায়। শীতকালে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
  6. যোগব্যায়াম ও ধ্যান- যোগব্যায়াম ও ধ্যান করলে মানসিক চাপ কমে এবং মন শান্ত হয়।