বিক্রম ব্যানার্জী: এখন থেকেই অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। আর কিছুদিনের মধ্যেই একটানা কয়েক মাসের জন্য একেবারে জাঁকিয়ে বসবে ঠান্ডা। ফলে শীতের হাত থেকে বাঁচার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সাথে বিক্রিও বাড়ছে শীত নিবারণকারী বিভিন্ন যন্ত্র ওয়াটার হিটার থেকে শুরু করে গিজারের। তবে এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের বাড়ির বাথরুমে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে যন্ত্রটি (Geyser)। গরমকালে তার ব্যবহার না হলেও ঠান্ডা পড়তেই স্নানের আগে চুটিয়ে ব্যবহার করা হয় গিজারের। তবে সেক্ষেত্রেও রয়েছে বিপদের হাতছানি।
আরও পড়ুন: কলকাতার রিটেনশন তালিকা থেকে বাদ পড়ায় কেঁদে ভাসালেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাথরুমে অব্যবহিত অবস্থায় পড়ে থাকা গিজার সার্ভিসিং না করিয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়। এমনকি নতুন গিজার কেনার 6 মাস পর সেটির সার্ভিসিং করাতে হয়। এছাড়াও গিজার যাতে সঠিকভাবে কাজ করে সে ক্ষেত্রেও ওয়াটার হিটারটির রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, গিজার যদি নিয়মিত সার্ভিসিং না হয় সেক্ষেত্রে যন্ত্রটিতে স্কেলিং ঘটতে পারে। যার দরুণ গিজারের হিটিং রডের জলে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জমা হয়ে ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একটি গিজার 6 মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ অবস্থায় থাকার পর সেটি চালানো হলে অনেক সময়ে গিজার লিক করে ব্লাস্ট করতে পারে। লক্ষণ হিসেবে, মাঝেমধ্যে গিজারে তীব্র শব্দ, গিজার থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়া এবং যন্ত্রটির লাইট বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়া সবই দুর্ঘটনার আভাস দেয়। কাজেই যারা শীতে নতুন গিজার না কিনে বাড়ির পুরনো গিজারটিকেই ব্যবহার করার কথা ভাবছেন তারা অবশ্যই একজন দক্ষ পেশাদার কর্মী দ্বারা গিজারটি সার্ভিস করিয়ে নেবেন।