Kalipuja 2024: আজ কালীপূজা! রাত নামলেই মা কালীকার (Devi Kali) আরাধনা! যুগে যুগে বিভিন্ন সময়ে খোঁজ মেলে একাধিক সাধকের, যাঁরা দেবী কালী (Devi Kali) ও তাঁর বিভিন্ন রূপের সাধনায় নিমজ্জিত থেকেছেন। অনেকে সিদ্ধিলাভ করেছেন। শক্তিরূপিনী দেবীর পূজায় (Kali Puja) বাঙালি বরাবরই নিমজ্জিত। এক সময় বাংলার বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে কালীপুজো করে ডাকাতি করতে বের হতো ডাকাতের দল। বিখ্যাত সেই সব ডাকাতীয়া কালীর পুজো এখনও হয়। আবার সারা বাংলায় যখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ঘনীভূত হয়ে উঠেছে, মা কালীর পুজোয় ব্যক্তিগত সুখ সমর্পণ করে দেশের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন দামাল বিপ্লবীরা।
শাস্ত্র মতে, দেবী মহামায়ার সংহার রূপ এই কালরূপিনী কালী। শিষ্টের পালন ও অশুভের সংহার করেন তিনি। তারই মাধ্যমে সৃষ্টির স্থিতি বজায় রাখেন দেবী। দেবী মহামায়ার এই সংহার রূপ সৃষ্টির বর্ণনা আছে কালিকা পুরাণে। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে বাঙালির কালী পুজো। সারা দেশে আলোর এই সময় আলোর উৎসব দীপাবলিও পালিত হয়।
পুরাণ মতে, শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামে দুই অসুর একদা ভয়ঙ্কর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। পাতাল ও পৃথিবীলোক জয়ের পর তারা দেবতাদেরও পরাজিত করে স্বর্গ অধিকার করে। অত্যাচার শুরু হয়। সৃষ্টি হয় অরাজকতা। দেবতাদের দেবলোক ত্যাগ করতে হয়। এই সংকট সময়ে ইন্দ্রসহ অন্যান্য দেবতারা ত্রিদেব তথা – ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশের শরণাপন্ন হন। তাঁদের উপদেশে দেবতারা আদ্যাশক্তি মহামায়ার উপাসনা করেন। দেবী আবির্ভূতা হন। মা মহামায়া অবতীর্ণ হলে তিনি দেবতাদের বরাভয় প্রদান করেন এবং অসুর নিধনে তার রুদ্র রূপ ধারণ করেন। দেবীর শরীর কোষ থেকে দেবী কৌশিকীর সৃষ্টি হয়। এরপর দেবী মহামায়া কাল বর্ণ ধারণ করে কালী রূপ নেন। রূদ্র রূপে অসুর সংহার করে সৃষ্টিকে সংকট মুক্ত করেন দেবী।