বিক্রম ব্যানার্জী: ইরানে হামলার সমাপ্তি ঘোষণার পরও যেন থামছে না ইজরায়েল-ইরান সংঘাত। আক্রমণ এবং তার পাল্টা আক্রমণের কৌশলে এগোচ্ছে দুই দেশ। ইতিমধ্যেই ইরানের তেহরানে বিমান হামলা চালিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মাঝেই ইরানপন্থী হিজবুল্লাহের লেবানন ঘাঁটিতেও আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। এহেন আবহে প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসছে ইরান। খুব শীঘ্রই ইজরায়েলের মাটিতে হামলা চালাতে পারে তারা এমন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের পাশে থেকে ইরানকে শায়েস্তা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন: কিউইদের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্টে ইংল্যান্ড দলে ডাক পেলেন জ্যাকব বেথেল, চেনেন তাকে?
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন মারফত জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের হামলার পাল্টা কোনও জবাব দেওয়া ঠিক হবে না ইরানের। সম্প্রতি এমনই বিবৃতি দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন পিয়েরে। এমনকি এও জানানো হয়েছে ইরান যদি ইজরায়েলে হামলা চালায় সেক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে প্রতিহত করতে ইজরায়েলের পাশে থাকবে আমেরিকা। সূত্রের খবর, 5 নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই তেল আবিবের ওপর প্রতিশোধ হিসেবে কঠিন হামলা চালাতে পারে ইরান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে ইজরায়েলের বড়সড় ক্ষতি চাইছে দেশটি।
প্রসঙ্গত, গত 1 অক্টোবর ইজরায়েলের উদ্দেশ্যে 200 টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে নেতানিয়াহুর দেশের মাটিতে কম্পন ধরিয়েছিল ইরান। জানা যায়, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এরপরই বেশ কয়েকবার ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গত 26 অক্টোবর শনিবার ভোররাতে ইরানের রাজধানীর তেহরান ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে 100টিরও ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে লক্ষ্যবস্তু অর্জনের কথা জানিয়েছিল ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। যদিও তারপরই ইজরায়েলের তরফে শোচনীয় ও অপ্রত্যাশিত প্রত্যুত্তরের আভাস সামনে আসে। তবে সেখানেও বিবৃতি প্রকাশ করে ইরানকে আক্রমণ থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।