Purba Midnapore: তছনছ জমির ফসল, ভেঙেছে গাছ-বাড়ি, পূর্ব মেদিনীপুরে জারি বৃষ্টির দাপট

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) কারণে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Midnapore) জেলায় তছনছ কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ও সব্জি। ভেঙেছে কয়েকশো গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়েছে প্রায় কয়েকশো মাটির বাড়ি, দোকান। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Midnapore) পাঁশকুড়া ব্লকের উত্তর মেছোগ্রাম এলাকাতেই ভেঙে পড়ে একটি দোকানঘর। দানার প্রভাব (Cyclone Dana) পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Midnapore) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। যদিও যতটা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা হয়নি। তবে সামগ্রিক রিপোর্ট ও পরিসংখ্যান এখনও না মিললেও জেলা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুব একটা কম নয়৷

দানার প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল। সম্ভাব্য সেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নেহাত কম নয়। বৃহস্পতিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল শুরু হয় ওড়িশায়। তার প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। স্বাভাবিক ভাবেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল শুক্রবার সকালে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চলছে অবিরাম বৃষ্টি। শুক্রবার ভোর থেকে ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। যদিও ল্যান্ডফলের অল্প পড়েই ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপের পরিণত হয়েছে। ফলে শুক্রবার ও শনিবার জেলা জুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

ঝড়বৃষ্টির কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষয়ক্ষতির সামগ্রিক পরিসংখ্যান এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি। দুর্যোগ কাটলে দিন দুয়েকের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তবে আপাতত প্রাথমিক হিসাব তিনি দিয়েছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ গাছ ভেঙেছে। সেই সব গাছ পরিষ্কার করা হয়েছে। গাছ ভাঙার পরিমাণ বিচার করে বন দফতরের তরফে জেলা জুড়ে বৃক্ষরোপণ করা হবে। বহু বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙেছে, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। প্রায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার নষ্ট হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেগুলি মেরামতির কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। যদিও এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষি দফতরের প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। প্রায় ১৫০০ হেক্টর জমির সব্জি নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখার পর সম্পূর্ণ পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।