Jhargram: দানার ধাক্কায় বেসামাল ঝাড়গ্রাম বাজার

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার: দানার(DANA) ধাক্কায় কপাল পুড়লো ঝাড়গ্রাম( Jhargram) রেল মার্কেটের আনাজ ব্যবসায়ী ও জুবলি মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ীদের। এই বুঝি আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আবহাওয়াটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কখনো হালকা কখনো মাঝারি বৃষ্টি হয়েছিল। রাত থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। শুক্রবার ভোর থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে।

এর ফলে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরের রেল মার্কেটের( Rail Market) বেশিরভাগ আনাজের দোকান বন্ধ ছিল। প্রতিদিন রেল মার্কেটে আনাজ কেনাবেচার ভিড়ে বাইক বা চার চাকা গাড়ি নিয়ে ঢোকা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। আর এদিন শুনশান বাজারে লোকই নেই। ঝাড়গ্রাম বাজারের এক সবজি বিক্রেতা ঝন্টু দত্ত জানান, প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার সময় ঝাড়গ্রাম শহর (Jhargram Town) লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা জমি থেকে আনাজ তুলে ঝাড়গ্রাম শহরে নিয়ে আসেন। চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি পাইকারি দরে আনাজ কিনে নেন আড়তদারেরা। পরে আড়তদারদের কাছ থেকে আনাজ কিনে বিক্রি করেন রেল মার্কেটের দু পাশের আনাজ বিক্রেতারা। কিন্তু এদিন ঝাড়গ্রাম বাজারে পাইকারি আনাজ কেনাবেচা কার্যত হয়নি।

আরও পড়ুনঃ বাংলার ‘দানা’ মুক্তি! তেমন প্রভাব নেই, চলছে বৃষ্টি

অন্যান্য আনাজ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, একে তুমুল বৃষ্টি, তার উপর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। সম্ভবত এজন্যই গ্রাম থেকে চাষিরা আনাস নিয়ে আসেননি। চাষিরা না আসায় বাজারে এদিন আনাজ অমিল। পুরনো যেটুকু আনাজ মজুত ছিল সেগুলি বিক্রি করেছেন দু-একজন সবজি বিক্রেতা। তবে বৃষ্টির জন্য বাজারে হাতেগোনা কিছু লোকজন ছাড়া তেমনভাবে ক্রেতাদের দেখা মেলেনি। একই অবস্থা লাগোয়া জুবিলী মার্কেটের মাছ পট্টিতে। বৃষ্টির জন্য মাছের আমদানি হয়নি। স্থানীয়ভাবে যেসব মাছ এসেছিল বাজারে। সেগুলিও বিক্রি হয়নি, পড়ে রয়েছে। দানার প্রভাবে নাগাড়ে বৃষ্টির ফলে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম রেল মার্কেটের আনাজ ব্যবসায়ী আর জুবিলি মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ীদের কপাল পুড়েছে। তবে আশার কথা শোনাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। শনিবার রাত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।