Midnapore: খেলোয়াড়দের যাতায়াত থাকা খাওয়ার টাকাও অমিল, বিস্ফোরক অভিযোগ সফল আকাশের বাবার

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
Midnapore: পূর্বাঞ্চলীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফের সাফল্য অর্জন করেছে মেদিনীপুর। ওড়িশায় ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত জুনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে (Junior Athletics Championship) জোড়া সাফল্য মেদিনীপুরের(Midnapore)। মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৬ লং জাম্পে প্রথম ও হাইজাম্পে দ্বিতীয় হয়েছে ওবামি মুর্মু। ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ বিভাগে ৬০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় হয়েছে আকাশ মাহাতো(Aakash Mahato)। কিন্তু ছেলের সাফল্যের পরেই রাজ্য ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে একরাশ বিরক্তি ও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আকাশের বাবা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের হয়ে সরকারি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে গিয়ে নূন্যতম যাতায়াত, খাওয়া দাওয়া বা থাকার খরচটুকুও জোটেনি পশ্চিমবঙ্গের খেলোয়াড়দের। যে খরচ রাজ্যের করা উচিৎ, সেই খরচ খেলোয়াড়রা নিজেদের পকেট থেকে করেছেন!

ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে গত ৭ থেকে ৯ অক্টোবর পূর্বাঞ্চলীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের হয়ে অংশ নেয় মেদিনীপুরের ৭ জন প্রতিযোগী। ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ বিভাগে ৬০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় হয়েছে আকাশ মাহাতো। মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৬ লং জাম্পে ৪.১২ মিটার লাফিয়ে প্রথম ও হাইজাম্পে ১.৪৫ মিটারের বাধা অতিক্রম করে দ্বিতীয় হয়েছে ওবামি মুর্মু। এরপর জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে আকাশ ও ওবামি দুইজনেই। কিন্তু অভিযোগ, ভুবনেশ্বরের রাজ্যের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েও যাতায়াত থেকে শুরু করে থাকা খাওয়া কোনও কিছুর খরচই দেয়নি রাজ্য।

Aakash Mahato

পোডিয়ামে আকাশ মাহাতো

শালবনীর থানার পিড়াকাটার বুড়িপালা গ্রামের বাসিন্দা আকাশ মাহাতো, পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। আর আগে রাজ্য স্তরে নিজের বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছিল সে। তার বাবা মা স্পেশাল হোমগার্ড হিসাবে কর্মরত। রাজ্য স্তরে ছেলের সাফল্যের পর এর আগে প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন খরচের জন্য রাজ্য সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন আকাশের বাবা সুনীল মাহাতো। এবার রাজ্য ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। GNE Bangla-র প্রতিনিধিকে সুনীল মাহাতো বলেন, খেলোয়াড়দের কোনও রকম খরচা দেওয়া হয়নি। ভুবনেশ্বরে নাকি থাকার জায়গাও দেওয়া হয়নি, নিজেদের ঘর ভাড়া করে থাকতে হয়েছে। এমনকি ভুবনেশ্বরের স্টেডিয়ামে নাকি খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল না খেলোয়াড়দের, নিজেদের কিনে খেতে হয়েছে! রাজ্য থেকে খেলোয়াড় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু যাতায়াতের খরচটুকুও দেওয়া হয়নি। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যস্তরে সফল হয়ে খেলোয়াড়েরা রাজ্যের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও সহযোগিতা নেই কেন? অভিযোগ, রাজ্যের হয়ে খেলতে যাওয়া শুধু নামেই, সমস্তটাই নিজেদের খরচে।