Chhatradhar Mahato: সাড়ে তিন বছর, সময়টা কম নয়। এই সাড়ে তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্রে বেশকিছু পরিবর্তন ঘটে গেছে। তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতেছে লোকসভা ভোটে। পরিবর্তন হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বে। আর এসবের মধ্যেই রাজনৈতিক গুরুত্ব হারিয়েছেন একজন। তিনি একসময় জঙ্গলমহলে(Jangalmahal) দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। কিষেনজির পর যার নাম সব চেয়ে বেশি উচ্চারিত হত জঙ্গলমলের নেতা হিসেবে। তিনি ছত্রধর মাহাত(Chhatradhar Mahato)।
পরে রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক পদে আসীন হন। সাড়ে তিন বছর পর নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরলেন সেই ছত্রধর মাহাত। অসুস্থ মাকে দেখতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন আগেই। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করতেই দুর্গাপুজোর (Durga Puja) মধ্যেই বাড়ি ফিরলেন ছাত্রধর।
এদিন বাড়ি পৌঁছে প্রথমে মায়ের সঙ্গে দেখা করেন ছত্রধর। দীর্ঘদিন পর ছেলেকে দেখে চোখে জল বেদনাবালা মাহাতোর। কলকাতা থেকে এসেছেন ছত্রধর। তাকে ঘিরে ছিল পুলিশের কড়া পাহারা। কিছুদিন আগেই দাদু হয়েছেন ছত্রধর। বাড়ি ফিরে ছোট্ট নাতির সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ লালমাটির ঘোড়ায় চড়ে মণ্ডপে অতীতের গল্পরা, ডেবরার লোয়াদায় এক টুকরো ইতিহাস
বাম আমলে গ্রেফতার হয়েছিলেন ছাত্রধর মাহাত। ১০ বছর জেলে থাকার পর মুক্তি পান। তারপর এন আই এ ফের তাকে গ্রেফতার করে। সেই মামলাতেও এখন জামিনে মুক্ত তিনি। তবে জামিনের শর্ত অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরে ঢুকতে পারবেন না ছত্রধর। অসুস্থ মাকে দেখতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ছত্রধর। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে। তবে ৯৬ ঘণ্টা পর অর্থাৎ দশমীর দিন ফের তাকে ফিরতে হবে কলকাতায়। এদিন ছত্রধর বলেন, ‘অনেক বছর পর দুর্গাপুজোয় বাড়ি এসেছি। মাকে দেখে সব কষ্ট ভুলে গেছি।’ দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে উমা আসেন বাপেরবাড়ি, ঘরের মেয়ে ফেরেন ঘরে। আর এবার অসুস্থ মাকে দেখতে ঘরের ছেলে ফিরে এসেছেন ঘরে। অনেক দিন পর দুর্গাপুজোর মধ্যে আলোর রোশনাইয়ে ভরে উঠেছে ছত্রধরের ঘর।