Rachana Shreelekha: বন্যা(Flood) দুর্গতদের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে চোখে জল চলে আসে রচনার। ডিভিসির(DVC) জল ছাড়ার পর এমন করুণ পরিস্থিতি দেখলেন এদিন। তাতে কি, তখনই এলাকাবাসীর ক্ষোভ, ‘বড় বড় নেতারা কেন জানে না, যে বস্তা দিলে থাকবে না। নিজেরা ইনকাম করেছে, আমাদের জন্য কিছু করেনি’।
ফেরার সময় যদিও গ্রামের ওল কিনতে ভোলেননি অভিনেত্রী।সেটা নিয়েও শুনেছেন। তবে সেভাবে নয়। গন্ডগোল বাঁধে অন্য খানে। যেখানে তারকা সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘সাধারণ মানুষ এমন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। কুইন্টাল কুইন্টাল(Quintal quintal) জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়ি ঘর কিচ্ছু নেই। সকলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর ওঁরা বলছেন নাকি জানিয়ে জল ছেড়েছেন। সত্যিটা কী আমাদের এই মুহূর্তে জানা নেই।’
আসলে, টানা বৃষ্টি আর ডিভিসির জল ছাড়ায় বিপাকে হুগলির বলাগড়। তাই অসহায় মানুষের সঙ্গে দেখা করতে এদিন পৌঁছেছিলেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়(Rachana Banerjee)। সেখানেই সাধারণ মানুষের প্রশ্নবাণে চাপে পড়ে যান। তারপরেই ভুল করে কিউসেককে বলেন কুইন্টাল।
এমন পরিস্থিতিতে, রচনার সেই ভুলই ধরিয়ে দিলেন শ্রীলেখা মৈত্র(Shreelekha Mitra)। নাম না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘এক কুইন্টাল = ১০০ কেজি, এমনি বললাম’। এরপরেই বাসা বাঁধে ট্রোল। তারকা সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অনেকেই।
বিরোধীদেরও আবার খোঁচা, ‘কুইন্টালে কবে থেকে জল মাপা শুরু হল? কোনও জ্ঞান নেই তাই এসব ভুলভাল বকছেন।’
আরও পড়ুনঃ সংসদের স্থায়ী কমিটিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ অভিষেক, প্রতিরক্ষার কমিটিতে দেব-রাহুলও
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী হলফনামা বলে, উচ্চ মাধ্যমিক পাস তিনি, কলেজে ভর্তি হলেও পড়া হয়নি। অন্যদিকে শ্রীলেখা মিত্র ইংরাজি অনার্স। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ করতে গিয়ে অবশ্য পিছিয়ে আসেন।