Abhishek Banerjee: তৃণমূল(TMC) কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, ডায়মন্ড হারবারের তিনবারের সাংসদ, অভিষেক ব্যানার্জিকে(Abhishek Banerjee) নিয়ে বড় খবর। সংসদের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটিতে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে৷ গত লোকসভা অধিবেশনের সময় তাঁর উল্লেখযোগ্য বক্তৃতা জাতীয় মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল, আর আজ এই গুরুত্বপূর্ণ কমিটির জন্য তাঁকে বেছে নেওয়া একটি অর্থবহ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি, মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তালিকা প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে প্রধান নেতৃত্বের পদগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি BJP) স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা উভয় কমিটির সভাপতিত্ব বজায় রেখেছে। যথাক্রমে রাধা মোহন দাস আগরওয়াল এবং রাধা মোহন সিং সেই পদ গ্রহণ করেছেন। আরও একটি উল্লেখযোগ্য নিয়োগে, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে। এই কমিটিতে অভিষেক ব্যানার্জিও কাজ করেন।
এবার, তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভায় দু’ টি স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব পেয়েছে। দোলা সেন এবং কীর্তি আজাদকে সেই পদগুলিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির চেয়ারপারসনরা সংসদীয় আলোচনায়, বিভিন্ন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অভিষেকের পাশাপাশি তৃণমূলের আরও বেশ কয়েকজন সাংসদকেও গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে রাখা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডেরেক ও’ব্রায়েনকে হোম অফিসের স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেব, অভিষেকের সাথে প্রতিরক্ষা কমিটিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও(Rahul Gandhi) রয়েছেন।
এসব নিয়োগ ছাড়াও অন্যান্য দলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য দিগ্বিজয় সিং শিক্ষা সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর কয়লা খনি ও ইস্পাত সংক্রান্ত কমিটির দায়িত্ব নিয়েছেন, অপর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডি জলসম্পদ সংক্রান্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন৷ বিজেপি লোকসভা সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুরে নতুন নিয়োগ, জেনে নিন আবেদনের উপায়
সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, এই নিয়োগগুলি ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সহযোগিতা এবং কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।