Adhir Ranjan Chowdhury: অধীর আছেন অধীরেই। কিছুদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস(Congress) সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে(Adhir Ranjan Chowdhury)। তার জায়গায় সভাপতি পদে অভিষেক ঘটেছে শুভঙ্কর সরকারের। অবশ্য লোকসভা ভোটের আগে থেকেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল অধীরের। তার মূল কারণ ছিল বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল – কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ। অধীর বারংবার বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্যের নিরিখে কোনভাবেই তিনি শাসক দলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। অথচ কংগ্রেস হাইকমান্ড তৃণমূলের(TMC) সঙ্গে সম্মুখসমরে যেতে আগ্রহী ছিল না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সেই কারণেই অধীরকে সরিয়ে শুভঙ্করকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বসানো হয়। কারণ শুভঙ্কর কংগ্রেসের মধ্যে থেকেও তৃণমূলের ক্ষেত্রে নরমপন্থী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হলেও অধীর ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি তৃণমূল বিরোধীতার পদ থেকে সরতে রাজি নন।
আর জি কর কাণ্ডের(RG Kar Case) প্রতিবাদে দুদিনের ধর্না কর্মসূচি পালন করছে কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের সভাস্থলের সামান্য দূরে বৃহস্পতিবার আর জি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে সভা করে সিপিএম। অধীর এদিন ধর্নামঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে বলেন, ‘এই আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী মীনাক্ষী এসেছে পাশের মঞ্চে। আমাদের বক্তব্য আলাদা হতে পারে, কিন্তু লড়াইটা এক। আর জি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে এই লড়াই।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে অধীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাম(Left front) নেতৃত্বকে ফের বন্ধুত্ত্বের আহ্বান জানালেন। নতুন সভাপতি শুভঙ্করের আমলে বাম নেতৃত্বের প্রতি অধীরের এই বার্তা কংগ্রেসের মধ্যেই আলাদা কোন সমীকরণ তৈরি করে কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুনঃ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নজরে থাকবেন ভারতের এই 5 মহিলা খেলোয়াড়
এদিকে আজ বামেদের সভা থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পদবি ভুলে বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।