স্বপ্নীল মজুমদার: বৃহস্পতিবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (Iswar Chandra Vidyasagar) ২০৫ তম জন্মদিবসে তাঁরই নামাঙ্কিত ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’(Vidyasagar Award) পেলেন ঝাড়গ্রামবাসী(Jhargram) জঙ্গলমহলের বিশিষ্ট ঝুমুরসঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রাণী মাহাতো (Jhumur Artist Indrani Mahata)। এদিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Vidyasagar University) কর্তৃপক্ষের তরফে সেখানকার বিবেকানন্দ সভারঘরে ইন্দ্রাণী ছাড়াও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমাজ সেবায় নিবেদিত স্বামী রামাত্মনন্দকেও ওই পুরস্কারে সম্মানিত করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্তকুমার চক্রবর্তী। মানপত্র, শাল ও আর্থিক মূল্য দিয়ে তিনজনকেই সম্মানিত করা হয়।
ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রাণী একজন জনপ্রিয় ঝুমুরসঙ্গীত শিল্পী। দেশে-বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। আকাশবাণী জামশেদপুরের (Akashbani Jamshedpur) নিয়মিত শিল্পী তিনি। ইন্দ্রাণীর বহু জনপ্রিয় গান জঙ্গলমহলের পালা-পার্বণে ও উৎসব অনুষ্ঠানে বাজতে শোনা যায়। ২০০০ সালে লক্ষ্মীকান্ত মাহাতোর সঙ্গে ইন্দ্রাণীর দ্বৈতকন্ঠে ‘আমার নাকফুল হাঁরাঞ গেল কলাবনির বনে গো’ গানটি আজও সমান সুপার ডুপার হিট।
আরও পড়ুনঃ বজ্রপাতের বলি ৪ জন, মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রশাসনের
পুরস্কার পাওয়ার পর ইন্দ্রাণী বলছেন, ‘‘আমার এই পুরস্কার প্রকৃতপক্ষে জঙ্গলমহলের খেটেখাওয়া প্রান্তবাসীদেরই উৎসর্গ করছি। কারণ ঝুমুর গানে সেই সব প্রান্তবাসীর সুখ দুঃখ, আনন্দ-বেদনার কথাই থাকে।’’ তবে এখন বিশ্বায়নের আধুনিকতার অন্তর্জালে হারিয়ে যাচ্ছে ঝুমুর সংস্কৃতি। ঝুমুরকে বাঁচিয়ে রাখতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝুমুরের সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরস্তরে ঝুমুরের পাঠক্রম চালু হওয়া জরুরি বলে জরুরি মনে করেন ইন্দ্রাণী।