সিঙ্গুরে ফিরতে পারে টাটা গোষ্ঠী! বর্তমানে এই জল্পনাই দানা বেঁধেছে রাজ্য বাসীর মনে। তাহলে কি সত্যিই বাংলায় ফিরবে টাটা? উত্তর জানতে হলে ফিরতে হবে ফ্ল্যাশব্যাকে। সালটা ছিল 2006। গোটা বাংলা জুড়ে তখন চলছে সিঙ্গুর আন্দোলন। তৎকালীন বুদ্ধদেব সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে হুগলির সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা গড়ার। সেইমতো, রতন টাটার সংস্থা, প্রায় 1000 একর জমি অধিগ্রহণ করে।
এরপরই ক্রমশ বাড়তে থাকে সাধারণ কৃষকদের ক্ষোভ। গড়ে ওঠে বৃহত্তর আন্দোলন। আর সেই আন্দোলনে পা বাড়িয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শেষ পর্যন্ত, জয় হয়েছিল আন্দোলনের। মুখ ফিরিয়ে বাংলা থেকে চলে যেতে হয় দেশীয় শিল্প গোষ্ঠীটিকে। আর এই মুহূর্তই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক মোড়। আন্দোলনের তীব্রতা ছিল এতটাই যা, বামফ্রন্ট সরকারের ভীত নাড়িয়ে মমতা সরকারকে ক্ষমতায় আনে। এবার দীর্ঘ 18 বছর পর টাটার বাংলায় ফেরার সম্ভাবনা উস্কে দিচ্ছে অতীতের স্মৃতি।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ এসএসসি-র
সত্যিই কী বাংলায় ফের কারখানা গড়ার লক্ষ্যে টাটা?
সূত্রের খবর, দীর্ঘ সময় পর ফের বাংলায় বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক টাটা গোষ্ঠী। তবে এবারে আর ন্যানো বা ফোর হুইলার নয়। অন্য কিছুর কারখানা গড়তেই বাংলার পথে রতন টাটা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই বাংলার মাটিতে পা রাখতে পারে টাটা মোটরস। কিন্তু কীসের কারখানা তৈরি হবে বাংলায়? প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবারে একেবারে অন্য ছন্দে এই শিল্প গোষ্ঠী।
মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি ইলেকট্রিক সাইকেল তৈরির পথে হেঁটেছে টাটা। আর সেই পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিন সাইকেলের কারখানা তৈরিতেই টাটার নজর বাংলার দিকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সদ্য প্রকাশ করা 30 হাজার রেঞ্জের ইলেকট্রিক সাইকেল তৈরিতেই নজর দিয়েছে সংস্থা। বাহনটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য, মাত্র 3 ঘন্টা চার্জ দিলেই দীর্ঘ 40 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা যাবে।
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুর আন্দোলনে বিফলে যায় ন্যানো কারখানার পরিকল্পনা। এরপর থেকেই রাজ্যের বর্তমান সরকারকে নিশানা করে একাধিক সমালোচনা ও কটাক্ষ উঠে এসেছে বারংবার। তবে প্রায় দুই দশক পর বাংলায় টাটার কারখানা তৈরির খবরে নতুন কর্মসংস্থানের আশায় জনগণের একটা বড় অংশ।