Durga Puja of Contai: পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির কিশোরনগর গড়ের জমিদার রায় বাড়ির প্রায় তিনশো বছরের পুরাতন পুজো আজও বহন করে চলেছে নিজের ঐতিহ্য। এখানে দেবীর ঘট বসে পশ্চিম মুখী। শুধু তাই নয়, পুজোর হোমাগ্নি জ্বালানো হয় আতস কাচে সূর্যের আলো ফেলে। ১৭২০ সালে প্রথম এই পুজো শুরু হয়। স্বর্গীয় রাজা যাদবরাম রায় দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশে পুজো শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ Durga Puja of Mallick Bari: পুজো হবে ‘উৎসব’ নয়! শতবর্ষে কোয়েল ও রঞ্জিত মল্লিকের বাড়ির পুজো
১৭২০ সালে রাজা যাদবরাম রায় এই পুজোর শুরু করেন। কথিত আছে, দুর্গাপঞ্চমীর গভীর রাতে দেবী স্বয়ং ষোড়শী বেশে নরোত্তম বর নামে এক মাঝির নৌকায় উঠে খাল পাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। পাড়ানি হিসেবে মাঝিকে পুঁথি দান করে কিশোরনগর গড়ে গিয়ে দুর্গামন্দিরে চণ্ডীমঙ্গল গাইতে নির্দেশ দেন। কিন্তু মাঝিকে মন্দিরে উঠতে দেওয়া হয়নি। তখন তিনি পশ্চিম মুখে বসেই গান গাইতে থাকেন। কথিত আছে তখনই প্রতিষ্ঠিত ঘট পশ্চিম দিকে ঘুরে যায়। রায় বাড়ির সদস্যরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। এরপর থেকেই পশ্চিম মুখো ঘটেই চলে আসছে পূজা।
পুজোতে একসময় বলি প্রথা প্রচলন ছিল। প্রতি বছর মহিষ বলি দেওয়া হয়েছে প্রায় ২৬৫ বছর ধরে। এরপর ১৯৮৫ সালে ঘটে অঘটন। বন্যায় রাজবাড়ি গোশালা ভেঙে পড়ে। গোশালায় থাকা দেবীর উৎসর্গীকৃত মহিষ দেওয়াল চাপা পড়ে মারা যায়। সে বছর থেকেই রায় বাড়ির পুজোয় পশুবলি বন্ধ হয়ে যায়। পশু বলির পরিবর্তে আখ ও চাল কুমড়ো বলি শুরু হয় সেই বছর থেকে। এই প্রথা এখনও নিয়ম মেনে প্রতিবছর চলে আসছে। তিন শতাব্দীর ইতিহাস সঙ্গে নিয়ে আজও পূজিতা হন রাজবাড়ির দুর্গা।