ফের আরও একবার রেল দুর্ঘটনার(Train Accident) খবরে ঘুম ভাঙলো দেশবাসীর। গত কয়েক মাসে পরপর যেভাবে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে তাতে রেলে যাত্রা করা এক প্রকার দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে যাত্রীদের কাছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি কয়লা বোঝাই মাল গাড়ির লাইনচ্যুত হওয়ার খবরে নড়ে চড়ে বসলো ভারতীয় রেল। উত্তরপ্রদেশের মথুরার বৃন্দাবন রোডের কাছে ঘটে এই দুর্ঘটনা। হতাহতের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে জনগণের।
উত্তরপ্রদেশে লাইনচ্যুত মালগাড়ির একাধিক কামরা
বুধবার রাত 11 টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের মথুরা বৃন্দাবন রোডের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ সাক্ষী থাকলো ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার। সূত্রের খবর, কয়লা নিয়ে ঝাঁসি থেকে সুন্দরগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে মালগাড়িটি। তবে বৃন্দাবন রোডের কাছাকাছি আসতেই লাইনচ্যুত হয় মালগাড়ির একাধিক কামরা। চালকের চেষ্টা সত্ত্বেও ভয়ংকর দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পায়নি ট্রেনটি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই ঘটনায় কমবেশি মোটামুটি মালগাড়ির 20টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি ভেঙেছে রেল ট্র্যাকের আশেপাশে থাকা একাধিক পিলার। নষ্ট হয়েছে প্রচুর পরিমাণ কয়লাও।
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা কতটা?
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিল্লিগামী মালগাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আশেপাশের পোস্টার গুলিতে ধাক্কা মারে। গতি বেশি থাকায় চালকের প্রবল চেষ্টা সত্ত্বেও ট্রেনের একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে অবশেষে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন গাড়ি চালক। ট্রেনের কামরাগুলি আশেপাশের রেল লাইনে ছড়িয়ে পড়লেও বড়োসড়ো কোনও বিপত্তি ঘটেনি। স্বস্তির খবর, গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। চালক এবং গার্ড সকলেই অক্ষত অবস্থায় ফিরেছেন। তবে দুর্ঘটনার তীব্রতা যেহেতু বেশি কাজেই গোটা ঘটনায় মৃত্যুর আশঙ্কা থাকায় তৎপরতার সাথে চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুনঃ অপছন্দের তালিকায় আইআইটি খড়গপুর, প্রথম ১০০ ছাত্রছাত্রীই অন্য আইআইটি-র পথে
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে মালগাড়ি দুর্ঘটনার জেরে আপ এবং ডাউন উভয় ট্র্যাকে বুধবার রাত থেকেই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। আগ্রা, দিল্লি ও গোয়ালিয়র মিলিয়ে কমপক্ষে 15 টি দূরপাল্লার ট্রেন নির্দিষ্ট সময় থেকে অনেকটা দেরিতে চলছে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই বুধবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। যত দ্রুত সম্ভব রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় সেদিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।