Dengue preventing 3 trees: বর্ষা এলেই উপদ্রব বাড়ে মশা(Mosquito), মাছির মতো ছোট পোকামাকড়ের। দীর্ঘদিনের একটানা বৃষ্টিতে তৈরি হয় স্যাতসেতে পরিবেশ যা এই ক্ষুদে প্রাণীরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। অন্যদিকে প্রবল বর্ষণে বাড়ির চারপাশে জমে থাকা জল হয়ে ওঠে ডেঙ্গু(Dengue), ম্যালেরিয়ার মতো ভয়ঙ্কর রোগের বাহক মশার আঁতুঘর। ফলে খুদে দস্যুর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান পন্থা অবলম্বন করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ মানুষের। তবে এমন কিছু গাছ(Trees) রয়েছে যা বাড়িতে থাকলে মশা, মাছি তো দূর পিঁপড়েও কাছে ঘেষবে না। রইলো বিস্তারিত।
এই 3টি গাছ(3 trees) থাকলে বাড়ির ত্রি-সীমানায় আসবে না মশা-মাছি
গাঁদা ফুলের গাছ
গাঁদা ফুলের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না মশা থেকে শুরু করে ছোট পোকামাকড়েরা। তাই বাড়িতে গাঁদা ফুলের গাছ লাগিয়ে শোভা বাড়ানোর পাশাপাশি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো পতঙ্গ বাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বাড়ির উঠোনে কিংবা ঘরের বেলকুনিতেও এই গাছ লাগানো যেতে পারে।
ল্যাভেন্ডার গাছ
গাঁদা ফুলের পাশাপাশি ল্যাভেন্ডার গাছও মশার মতো খুদে দস্যুদের চরম শত্রু। তাই বাড়িতে এই গাছ লাগালে ঘরের আশেপাশে ছোট পোকামাকড়ের বিচরণ বন্ধ হবে। পাশাপাশি রোগ মুক্ত থাকবে আপনার পরিবার। সেক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভাল, শীতকাল ছাড়া অন্য যেকোনও সময় এই গাছ রোপন করা যেতে পারে। শীতকালে এই গাছের বৃদ্ধির হার অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম।
ব্যাসিল গাছ
ব্যাসিল গাছ বাড়িতে থাকলে মশা, মাছি সহ অন্যান্য পোকামাকড়দের বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে ওঠে। যত দ্রুত সম্ভব এরা বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করে। মূলত এই গাছের পাতা মশার বংশের চিরশত্রু। তাই গাছ লাগানোর পাশাপাশি নিয়মিত গাছের পরিচর্যাও করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ দশমীর মিষ্টি মুখ হোক মুগ ডালের হালুয়া দিয়েই, স্বাদ এমন হবে যে আঙ্গুল চাটবেন
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার(Malaria) মতো পতঙ্গ বাহিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া উচিত। বর্ষাকাল ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে বাড়ির আশেপাশে জল জমে আছে কিনা তাও নিয়মিত খোঁজ নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে, মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত মশা তাড়ানোর ধুপ ব্যবহারের পাশাপাশি মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো উচিত।