মেদিনীপুরের (Midnapore) বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Vidyasagar University) সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য শিরোনামে এসেছে। এবারেও শিরোনামে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, তবে ভিন্ন কারণে। পড়ুয়াদের অপ্রত্যাশিত খারাপ ফল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হতেই এই তথ্য সামনে এসেছে।
মাধ্যমিক হোক বা উচ্চমাধ্যমিক, যেকোনও স্তরে রাজ্য ভিত্তিক ফলাফলে বরাবর উজ্জ্বল মেদিনীপুর। সামগ্রিক পাশের হারও অন্যান্য জেলার তুলনায় ভালো। এবার সেই মেদিনীপুরেই উল্টোপুরাণ! গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ফলাফল দেখে তাজ্জব জেলার শিক্ষামহল থেকে অধ্যাপক সকলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অধিকাংশ কলেজে অর্ধেকের বেশি পড়ুয়া কোনও না কোনও বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন! এত ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে অকৃতকার্য হওয়ায় শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুনরায় উত্তরপত্র খতিয়ে দেখার দাবিতে উপাচার্যের কাছে আবেদন জমা পড়েছে পড়ুয়াদের তরফে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই শোচনীয় ফলাফল কেন! সিবিসিএস পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রম চালু ২০১৮ সালে করেছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে শুরু হয়েছে নতুন সিলেবাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৫৪টি কলেজে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। এখন অধ্যাপকদের একাংশের মতামত, নতুন সিলেবাসের কারণে বইপত্র হাতে পেতে সময় লেগেছে। এছাড়া পঠনপাঠনের জন্য কিছুটা কম সময় পাওয়া গিয়েছে, এজন্য ফলাফল খারাপ হতে পারে। আবার কিছু অধ্যাপকের মত, স্নাতক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকে পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়েছেন। এখন মার্কশিট হাতে পেলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে অভিমত তাঁদের।