স্বপ্নীল মজুমদার: ১৪ বছরের নাবালিকাকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে ১৭ বছরের এক নাবালক সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে জামবনি(Jamboni) থানার পুলিশ। নাবালক সহ চারজনের বাড়ি জামবনি থানা এলাকায়। বাকি তিন অভিযুক্ত সাবালক। তাদের বয়স ১৯-২০ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ ট্যাক্স নিয়ে নতুন সুখবর অর্থমন্ত্রীর, কী সুবিধার ঘোষণা?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামবনি(Jamboni) থানায় এসে নাবালিকা ওই চারজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণ, পকসো আইন ও নাবালিকা পাচারের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই চারজনকে ধরা হয়। মূল অভিযুক্ত লক্ষ্মণ টুডুর সঙ্গে নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার নাবালিকাকে লক্ষ্মণ বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, তারপর একটি ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে লক্ষ্মণ। সেখানে হাজির হয় লক্ষ্মণের তিন বন্ধু। তারা হল কানাই রানা, রবিন রানা ও ১৭ বছরের এক কিশোর।
এরপর নাবালিকাকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে আচ্ছন্ন করে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নাবালিকাকে টাকার বিনিময়ে তিন বন্ধুর কাছে বিক্রি করে দেয় লক্ষ্মণ। বৃহস্পতিবার সকালেও নাবালিকা বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এদিকে নাবালিকাও কোনও মতে পালিয়ে বাড়ি চলে এসে মাকে ঘটনার কথা জানায়। মায়ের সঙ্গে থানায় গিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকা। ধৃতদের মধ্যে লক্ষ্মণ, কানাই ও রবিনকে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম পকসো আদালতে(Jhargram District Court) তোলা হলে লক্ষ্মণকে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি দু’জনকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
নাবালক অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করা হয়। বিচারকের নির্দেশে নাবালক অভিযুক্তকে পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Medinipur) একটি হোমে পাঠানো হয়। নাবালিকাকে ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির(District Child welfare Committee) সামনে হাজির করা হয়। নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।