স্বপ্নীল মজুমদার : শিক্ষক দিবসের দিন শিক্ষারত্ন ফেরালেন ঝাড়গ্রাম(Jhargram) শহরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমৃত কুমার নন্দী। ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষারত্ন সম্মান পান অমৃতবাবু। পরে অবসর নেন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব ও স্কুল শিক্ষা দফতরে এক চিঠি মেল করে ৬৬ বছরের অমৃতবাবু জানিয়েছেন, ‘‘গত কয়েক বছর যাবত নিবিড় ও নিঃশব্দে রাজ্যের প্রতিটি স্তরে যে ব্যাপক দুর্নীতি লক্ষ্য করে চলেছি, বিশেষত নিয়োগের ক্ষেত্রে এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া, কর্মরতা তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন, খুন ও তা গোপন করবার জন্য তথ্য-প্রমাণাদি লোপাট করার মত যে নৃশংস ও জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে, আমার বিবেকের দংশনকে মান্যতা দিয়ে ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার আমি ত্যাগ করছি ও ফেরত দিচ্ছি। ভেবে লজ্জিত বোধ করছি যে পুরস্কারটি আমি গ্রহণ করেছিলাম তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কালিমাময় হাত থেকে।’’
আরও পড়ুনঃ সস্তায় চারচাকা! কম বাজেটে সেরা ৩টি গাড়ির হালহকিকত
চিঠিতে অমৃতবাবু লিখেছেন, ‘‘পথে নেমে যাঁরা প্রতিবাদী আন্দোলনে সামিল হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমর্থন ও সংহতি জানানোর জন্যই আমার এই প্রতীকী প্রতিবাদ, আর কোন উদ্দেশ্য নেই।’’ পাশাপাশি, তিনি বলছেন, ‘‘বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী, যিনি নিজে স্বতন্ত্র ভাবে একজন সংস্কৃতিবান মানুষ, নিশ্চিত রূপে বিষয়টি অনুধাবন করবেন।’’ পুরস্কারের অর্থমূল্য সরকারি ট্রেজারির মাধ্যমে ফিরিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন অমৃতবাবু।