ট্যাব কিনতে ১০ হাজার টাকা (Money for Tab) পাবেন না একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত বদল রাজ্য সরকারের। অনুদানের উদ্দেশ্যে রাজ্যের সব ট্রেজারিতে টাকা পাঠানোর পরেও হঠাৎই তা বাতিল করেছে নবান্ন। প্রশাসনিক কারণে ট্যাব কিনতে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেই মর্মে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ট্রেজারিগুলিকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পড়ুয়াদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের আবহে নবান্নের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্য সরকার ২০২১ সালে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প শুরু করে। সরকারি এবং সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুলগুলির দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য বছরে ১০ হাজার টাকা দেওয়া শুরু হয়। বিগত বাজেটে রাজ্য জানায়, এই বছর থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাশাপাশি একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও ট্যাব কিনতে উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেই মর্মে অতিরিক্ত ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। শিক্ষা দফতরের নির্দেশে স্কুলগুলি পড়ুয়াদের তথ্য সংগ্রহ করে। জানা গিয়েছিল, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তথা শিক্ষক দিবসের দিন থেকে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু হবে। কিন্তু হঠাৎই সিদ্ধান্ত বদল। প্রশাসনিক কারণে ট্যাব কিনতে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বাতিল করা হয়েছে। ট্রেজারিগুলোকেও অর্থ দফতরের তরফে নির্দেশ দিয়ে অ্যালর্টমেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। চিকিৎসক, নাগরিক সমাজের পাশাপাশি রাস্তায় নেমেছে স্কুল পড়ুয়ারাও। শহর, মফঃস্বল সহ বিচারের দাবিতে গ্রামেগঞ্জেও মিছিল করেছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই স্কুল) জেলার সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করেন, স্কুল চত্বরের বাইরে স্কুলশিক্ষা দফতরের অনুষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না পড়ুয়ারা। এর অন্যথা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যেও স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। স্কুল পড়ুয়ারা মিছিল করায় হাওড়ার কয়েকটি স্কুলকে শোকজও করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে মিছিল করে স্কুল পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই পড়ুয়াদের ট্যাব কিনতে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলছে।