চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
বন্যা পরিস্থিতির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Midnapore) ঘাটালের (Ghatal) বিস্তীর্ণ অংশ এখনও জলের তলায়। তবে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে জলস্তর, হচ্ছে অবস্থার উন্নতি। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসনও। নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। কুইক রেসপন্স টিম থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও প্রস্তুত রয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে।
আরও পড়ুনঃ September 2024: বন্ধ SMS, বদল UPI নিয়মে, আধারে পরিবর্তন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি! একনজরে সেপ্টেম্বর মাস
বিগত একমাসেই দু’বার বন্যা পরিস্থিতি ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। জলের তলায় চাষের জমি, মন্দির, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রাস্তাঘাট। অনেক স্থানেই মানুষের যাতায়াতের মূল ভরসা এখন নৌকা। বেশ কিছুদিন লাগাতার বৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল পৌরসভার মনসুখা, গড়প্রতাপপুর সহ একাধিক এলাকা জলের তলায়। নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণের ফলে ঝুমি, শিলাবতী, রূপনারায়ন নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ফলে নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অসীম মাইতি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের খুবই করুণ দুর্দশা। প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে আমাদের এই ভাবে নৌকা করে যেতে হচ্ছে। আমাদের প্রত্যেকদিন অফিস যেতে হলে ১ ঘণ্টা করে অপেক্ষা করতে হয়, তারপর যেতে পারি। বছরের পর বছর ধরে বর্ষার সময় আমাদের এই রকম করেই যেতে হয়। আমরা জানিনা এই সমস্যা থেকে আমরা কবে মুক্তি পাবো।” আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা অরবিন্দ সামন্ত বলেন, “এখন আমাদের এখানে চারপাশ জলে ডুবে গেছে। যাতায়াত করার রাস্তাও জলে ডুবে গেছে। নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা জল পেড়িয়ে স্কুল যাচ্ছে, চারদিকে সাপ উঠছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হলে সমস্যার সমাধান হবে।” ঘাটালের এসডিও সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। জলস্তরে নামছে। প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।