স্বপ্নীল মজুমদার: খুনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলা দায়রা আদালত। বৃহস্পতিবার জেলা বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায় সাজা ঘোষণা করেন। জেলা মুখ্য সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত রায় জানান, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্ত সুরেন নায়েককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত ছ’মাস সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত সুরেন নায়েকের বাড়ি ঝাড়গ্রাম (Jhargram) থানার বাঁশতলা গ্রামে।
২০২২ সালে ২৭ ডিসেম্বর বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা ধীরেন মাঝি বেলা ১টা নাগাদ চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বাঁশতলা(Banstala) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গ্রামেরই এক বাসিন্দা সুরেন নায়েকের সঙ্গে ধীরেনের দেখা হয়ে যায়। সুরেনের কাছে কিছু টাকা ধার করেছিল ধীরেন। সেই টাকা শোধ করতে গড়িমসি করছিলেন ধীরেন। এই নিয়ে ধীরেনের সঙ্গে সুরেনের বচসা শুরু হয়। বচসা চলাকালীন সুরেন একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে ধীরেনের মাথায় আঘাত করে। ধীরেন রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে(Jhargram Hospital) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ আর জি করে তরুণী চিকিৎসক খুন, ফাটল ধরেছে তৃণমূলের মহিলা ভোটব্যাঙ্কে?
ওই দিনই ধীরেনের ছেলে বুদ্ধেশ্বর মাঝির অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। পরদিন (২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর) সুরেনকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি জেলা দায়রা আদালতে ওঠে। গত বছর ৩০ অগস্ট বিচারের জন্য মামলার চার্জ গঠন হয়। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার নীলু মণ্ডল সহ ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালতে। বুধবার সুরেনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক সাজা ঘোষণা করেন।