Nabanna Abhijan|Lalbazer: ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানকে(Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কলকাতার রাজপথে। আরজিকর কাণ্ডের(RG Kar Case) প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে(Nabanna Abhijan) দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। আন্দোলনকারীদের দেখা যায়, পুলিশের দেওয়া গার্ডরেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করছেন। পুলিশ প্রথমদিকে শান্ত থেকে ধৈর্যের পরিচয় দিলেও পরবর্তীতে যখন পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, ঠিক তখনই পুলিশ পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে।
হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করে দেওয়া আন্দোলনকারীদের দিকে জল কামান এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ ধরেই বিক্ষোভকারী পুলিশের মধ্যে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখা যায়। আর বিক্ষোভকারীদের আঘাতে আহত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। তার মধ্যে কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশীষ চক্রবর্তী তার এক চোখের দৃষ্টি হারাতে বসেছেন। নবান্ন অভিযানের দিন ভিড়ের মধ্যে থেকে ইটের আঘাতে তার এক চোখে জোরালো ক্ষত সৃষ্টি হয়।
লালবাজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দেবাশীষের আঘাতের ছবি সবাই দেখেছেন। আঘাত ওনার খুবই গুরুতর জায়গায় আছে। কর্নিয়ায় আঘাত আছে, রেটিনায় আঘাত আছে। একটা অপারেশন হয়েছে। দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কিনা বলা যাচ্ছে না। ৭ থেকে ১০ দিন কমপক্ষে সময় লাগতে পারে। আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। কারা এর সঙ্গে যুক্ত, কারা এই ধরনের কাজ করলো, তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ প্রাথমিকে হবে ১৪ হাজার নিয়োগ, জট কাটলো আদালতের নির্দেশে
এছাড়াও সাতরাগাছিতে ইটের আঘাতে এক RAF কর্মীর মাথা ফেটে যায়। হাওড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন দুইজন। বাবুঘাটে নিরস্ত্র ট্রাফিক পুলিশের উপর আন্দোলনকারীরা আক্রমণ করে। ছাত্র আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। আর এবার একেবারে কড়া অ্যাকশন মোডে পুলিশ। লালবাজারের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, “যেখানে যেরকম প্রমাণ পাব, সেরকম ব্যবস্থা নেব। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। আমরা সবটা দেখছি, কোথায় কি আছে”… কলকাতা পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অপরাধীদের খুঁজে খুঁজে বের করে ধরা হবে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।