একদিকে যখন বিজেপির ডাকে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ চলছে, ঠিক সেই সময়ে সিপিআইএমের (CPM) যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) প্রতিবাদ মিছিলের ওপর হামলা চালালো শাসক তৃণমূল(TMC), এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার সংলগ্ন এলাকায়। সকাল থেকেই বিজেপির ডাকে ১২ ঘন্টার বনধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি গন্ডগোল হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ“পুরুষ পুলিশ বুকে ধাক্কা মারে!” গুরুতর অভিযোগ মিনাক্ষীর
আর এর মধ্যেই বিকেলে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সিপিআইএমের যুব সংগঠন DYFI-এর উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। যখন এই প্রতিবাদ মিছিল ডিএমসি মোড়ের কাছে আসে,তখন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিলটি ডিএমসি মোড়ের কাছাকাছি আসতেই ডিওয়াইএফআই এবং তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে হাতাহাতি, মারপিট শুরু হয়ে যায়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে।
ডি ওয়াই এফ আই এর অভিযোগ, তারপরেই শাসক তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাদের দলীয় অফিস বিমল দাশগুপ্ত ভবনে ভাঙচুর করে হামলা চালায়, বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিওয়াইএফআইয়ের বেশ কিছু সমর্থক জখম হয়েছেন। পাশাপাশি তৃণমূল দাবি করেছে, তাদেরও নয়জন সমর্থক আহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষণের খতিয়ান প্রকাশ, আক্রমণাত্মক অভিষেক
সিপিএমের তরফে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, ‘যখন বিকেল বেলায় আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ডিওয়াইএফআইয়ের নেতৃত্বে মিছিল করা হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় তৃণমূলের লোকজন এসে মিছিলের ওপর হামলা করে। তাতেই আমাদের কর্মীরা আহত হন এবং সিপিআইএমের দলীয় অফিসের উপরেও হামলা চালানো হয়, বোমাবাজি করা হয়’।
যদিও শাসক তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, ‘শান্তিপূর্ণভাবে তৃণমূল ওখানে মিছিল করছিল। সেই মিছিলের উপর বিজেপি ও ডিওয়াইএফআই একত্রিত হয়ে হামলা চালায়। যার ফলে তৃণমূলের নয় জন কর্মী জখম হয়েছেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে মামলা দায়ের হচ্ছে। এই ঘটনায় যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে’।