প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) গত ২২ আগস্ট চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আরজি কর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন সংক্রান্ত আইন আরো কড়াকড়ি করা নিয়ে কেন্দ্রকে এই চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন সংক্রান্ত আইন যাতে আরো কঠোর এবং কড়াকড়ি করা হয়, তার অনুরোধ জানান তিনি।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) মুখ্যমন্ত্রীর লেখা সেই চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে। নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে জানিয়েছেন, ‘১ জুলাই থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) লাগু হয়েছে। BNS অনুযায়ী নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি প্রদানের আইন রয়েছে’।চিঠিতে আরো জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩ টি ফাস্টট্র্যাক কোর্টের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই কাজ শুরু হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘ চিঠিতে Narendra Modi কে লিখেছিলেন, ‘প্রতিদিন ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে। ৯০ টি করে কেস হচ্ছে। এর একটা শেষ হওয়া দরকার। বিশেষ আইন আনা প্রয়োজন। যাতে ১৫ দিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক কোর্টে বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত হয়।’ জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ১২৩ টি ফাস্টট্র্যাক আদালতের অনুমোদন রয়েছে। যেখানে ১০৩ কোর্ট পকসো আইন এবং ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে।২০ টি কোর্ট পকসো আইন সংক্রান্ত মামলার জন্য অনুমোদিত। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনো আদালতই কার্যকর হয়নি।’
আরও পড়ুনঃ পড়ুয়ারা কবে নাগাদ ১০ হাজার টাকা পাবে?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো জানান, পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজার ৬০০ টি ধর্ষণ এবং পকসো আইন সংক্রান্ত মামলা ঝুলে থাকা সত্ত্বেও অবশিষ্ট ১১ টি ফাস্টট্র্যাক কোর্ট শুরু করার জন্য রাজ্য সরকার কোনো রকম পদক্ষেপ করেনি। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পশ্চিমবঙ্গে ৮/৬/২০২৩ তারিখ নাগাদ FTSC চালু করার কথা চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছিল রাজ্য। ১৭ টি ফাস্টট্র্যাক কোর্ট পশ্চিমবঙ্গকে অনুমোদন করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি নাগাদ কেবলমাত্র ৬টি পকসো আদালত চালু হয়েছে।’ এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর জবাবে রাজ্যের গাফিলতি তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় সরকার।