বাংলাদেশের(Bangladesh) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে একরকম লুকিয়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। বাংলাদেশে টানা চারবার ধরে হাসিনার আওয়ামী লীগের জমানা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে নোবেল জয়ী মোঃ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। যদিও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই দেশের সংখ্যালঘু বৃহৎ সম্প্রদায় হিন্দুদের উপর আক্রমণের একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
এবার শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina) বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার সময় ৫০০ কোটি আমেরিকান ডলার (৬০০০০ কোটি বাংলা টাকা) আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)।
বাংলাদেশের সব থেকে বৃহৎ প্রকল্প রূপপুরের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি বাস্তবায়নের পর দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে বলে জানা যায়। ২০২১ সালে শেখ হাসিনা এই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন করেন। ২০২৩ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়াল মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের ওই ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার সরকারও এই দুর্নীতিতে জড়িত। শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি তথা ব্রিটিশ সাংসদ টিউলিপ সিদ্দিকের সমর্থতায় ওই টাকার লেনদেন হয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ এর সুযোগ করে দেয় ওই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার রোসাটম। অভিযোগ ওঠে, ভাগ্নি বৃটেনের হেভিওয়েট রাজনীতিক টিউলিপ সিদ্দিক তার সাংসদ পদ ব্যবহার করেই এই লেনদেনে অংশ নিয়েছিলেন। বর্তমানে ইংল্যান্ডের সরকারে তার দল লেবার পার্টি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শান্তিপূর্ণ জমায়েতে অশান্তির ছক কষায় গ্রেফতার ২, দাবি পুলিশের
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় টিউলিপ সিদ্দিক সঙ্গী ছিলেন। তখনই ঢাকা- মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি। আর টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার মা শেখ রেহানা ২০০৯ সালে প্রচ্ছয়া লিমিটেড নামে ভুয়ো কোম্পানি চালু করেন। এই ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা, এমনটাই ওই রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে।