RG kar case: বিধাননগর পুলিশের তরফে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা দেখিয়ে রবিবারের মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল এর ডার্বি ম্যাচ বাতিল করা হয়। তারপর মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডানের সমর্থকেরা সল্টলেক সংলগ্ন এলাকায় আরজিকর কান্ডের(RG kar case) প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করেন। বারবার স্লোগান তুলতে থাকেন। প্রথম দিকে পুলিশ লাঠি উচিয়ে তেড়ে গেলেও কিছুক্ষণ পর থেকে ব্যাকফুটে যেতে শুরু করে পুলিশ। এদিকে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, দুই প্রধানের এই শান্তিপূর্ণ জমায়েতে অস্ত্র বোমা নিয়ে অশান্তির ছক কষেছিল কিছু দুষ্কৃতী।
যুবভারতী স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জমায়েতে অস্ত্র বোমা নিয়ে অশান্তির ছক কষে কিছু দুস্কৃতী। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সমর্থকদের বদনাম করা। গোপন সূত্রে কিছু অডিও রেকর্ডিং পুলিশের হাতে আসে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। আর এর ভিত্তিতেই দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানায়। ধৃতেরা হলো মানিকতলা বাগমারীর রাকেশ পাল এবং ব্যারাকপুরের শেখ সালমান। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্ত করার জন্যই দুষ্কৃতীরা ছক কষেছিল। তাই পুলিশ এই পদক্ষেপ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ফুটবল বনাম পুলিশি দমন! মোহন-বেঙ্গল সমর্থকদের প্রতিবাদের ডাক সুখেন্দুর
রবিবার দুপুর থেকেই সল্টলেক স্টেডিয়ামের দিকে ২ প্রধান ফুটবল ক্লাবের সমর্থকরা আসতে শুরু করেন। ভিড় জমে যায় এলাকায়। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকরা একযোগে গলায় আওয়াজ তুলতে থাকেন.. “জাস্টিস ফর আরজিকর” মিছিলের সমর্থকদের সংখ্যা ক্রমশই বাড়তে থাকে। পুলিশ প্রথম দিকে লাঠিচার্জ করে কয়েকজনকে ধরার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দিতে হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় পুলিশও কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করেছিল। সেখানে গণতান্ত্রিকভাবেই তারা জমায়েত করে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। যাতে সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় কোনো সমস্যা তৈরি না হয় তাই পুলিশের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছিল।