চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
মেদিনীপুরে (Midnapore) ভূমি রাজস্ব দফতরের কাজ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Midnapore) জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী। পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Midnapore) জেলার DLLRO, BLLRO, SDLLRO রা। জেলার ভূমি রাজস্ব সংক্রান্ত কাজকর্ম নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেন জেলাশাসক। জমির মিউটেশন থেকে শুরু করে জমি সংক্রান্ত অনেক কাজ নিয়ে বিভিন্ন আইনি ঝঞ্জাটে পড়তে হয় জেলার মানুষজনকে। ভূমি রাজস্ব দফতরের কাজের দীর্ঘসূত্রতা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সেই সমস্ত সমাধানেই জেলাশাসকের এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ১ হাজারেরও বেশি মহিলা, তপশিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারকে চিহ্নিত করে বাড়ি ও জমির পাট্টা প্রদান সুনিশ্চিত করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
ভূমি রাজস্ব দফতরের কাজ নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
১. ৩০ দিনের মধ্যে জমির মিউটেশন ও কনভারসন সংক্রান্ত কাজ সমাধা করতে হবে।
২. ৭ দিনের মধ্যে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে আসা অভিযোগগুলির সুরাহা করতে হবে।
৩. বেআইনি পুকুর ভরাট, সরকারি জমি দখল এবং বেআইনি জমি দখলের ক্ষেত্রে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. সরকারি দফতরের জমি সংক্রান্ত কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৫. বাংলা সহায়তা কেন্দ্রকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৬. সরকারি জমিতে সত্ত্বর বোর্ড লাগিয়ে সুরক্ষিত করতে হবে।
৭. দফতরের কাজে কোনও রকম অসৎ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না এবং কড়া ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে৷
পর্যালোচনা বৈঠকে জেলা ভূমি রাজস্ব দফতরের একাধিক সাফল্যের বিষয়েও আলোচনা হয়। ২০২৪ সালে জেলায় এখনও পর্যন্ত ২ লাখেরও বেশি জমির মিউটেশন হয়েছে। কনভারসন কেস সমাধার ক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা রাজ্যে প্রথম। ‘জলস্বপ্ন প্রকল্পে’র জন্য ১১৩ একর জমি তুলে দেওয়া হয়েছে ‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি’ দফতরের হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ১ লাখ ৬৫ হাজার একর সরকারি জমি সার্ভে করে সুরক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়াও ১০০০ হাজারেরও বেশি মহিলা, তপশিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারকে চিহ্নিত করে বাড়ি ও জমির পাট্টা প্রদান সুনিশ্চিত করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফে।