আরজিকর(RG Kar) কাণ্ডের পরেও হাল ফেরে নি পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেলগুলোর। এখনো পর্যন্ত বাংলার হাসপাতালের হস্টেলগুলোতে, বিশেষ করে যে সমস্ত হস্টেলে ছাত্রী পড়ুয়ারা থাকেন, সেগুলো এতটাই অরক্ষিত, তা ফের এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরো একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।
যখন আরজিকর কান্ড নিয়ে দেশ তোলপাড়, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, রাজ্য সরকার চাপের মুখে একেবারে নীরব হয়ে গিয়েছে, তাদের কার্যকলাপ নিয়ে আদালত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, ঠিক সেই সময়েই দেখা গেল বাঁকুড়া(Bankura) সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেলের দেওয়াল টপকে গভীর রাতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে এক দুষ্কৃতী অনায়াসে তার ভিতরে ঢুকে পড়েছে। আবাসিক মহিলা চিকিৎসক থেকে পড়ুয়ারা এই ঘটনায় আতঙ্কিত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে, যে সেখানে মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, রাত আড়াইটা নাগাদ এক দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাঁকুড়া(Bankura) সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেলের পাঁচিল টপকে হস্টেল চত্বরে ঢুকে পড়ে। সেটি এক আবাসিক ছাত্রী দেখতে পেয়েই চিৎকার করে ওঠেন। তখনই ওই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে লেডিস হস্টেলের দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার। কি উদ্দেশ্যে ওই দুষ্কৃতী লেডিজ হস্টেলে ঢুকেছিল গভীর রাতে, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। এরপরেও যা দেখা গেল তা আরো অবাক করে দিয়েছে। এই ঘটনার পরেও লেডিজ হস্টেলের কোনো নিরাপত্তা নেই। দরজার পাশে সিকিউরিটি রুম থাকলেও কোনো নিরাপত্তারক্ষী নেই। মূল প্রবেশপথের দিকে তাক করা একটা সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু হস্টেলের আবাসিকরাই জানেন না সেই ক্যামেরা আদৌ চলে কিনা?
আরও পড়ুনঃ পুরীর জন্য পুজোয় স্পেশাল ট্রেন, টিকিট কাটুন শেষ হওয়ার আগেই
হস্টেলের পিছন দিকে বিশাল ঝোপ জঙ্গল ভর্তি। সেখানে যেকোনো সময় রাতের বেলা দুষ্কৃতীরা অনায়াসে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা। হস্টেলের সীমানা পাঁচিল খুব বেশি হলে পাঁচ থেকে ছয় ফুট উঁচু। নেই কোনো কাঁটাতার। ফলে যে কোনো সময় বাইরের দুষ্কৃতীরা গভীর রাতে ওই হস্টেলে ঢুকে পড়তে পারেন। এতটাই অরক্ষিত বাঁকুড়া(Bankura) সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লেডিজ হস্টেল চত্বর। একাধিকবার পড়ুয়ারা দাবি জানানোর পরেও এখনো পর্যন্ত কোনো হাল ফেরেনি।