বাংলাদেশে (Bangladesh) শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ক্রমেই রূপ নেয় রাজনৈতিক আন্দোলনে। শেষ পর্যায়ে পরিনত হয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের আন্দোলনে। সুকৌশলে শিক্ষার্থীদের কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের কাজ হাসিল করে নেয়। ফলস্বরূপ বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বে বাংলাদেশে (Bangladesh) তৈরী হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
তবে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, গরীব শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎকারী সুদখোর ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের কাছে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো?
মুহাম্মদ ইউনূস, একজন সামজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। অন্যদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাও তিনিই। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, ২০১২ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (শিক্ষা) হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তবুও এমন এক পন্ডিত ব্যক্তির উপরেও কেন এমন উঠছে প্রশ্ন?
এই ওঠার পেছনেও রয়েছে যথাযথ কারন। গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সহ অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে তহবিল থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়। যদিও এই মামলা থেকে গত রবিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস সহ ১৪ জনকেই খালাস দেওয়া হয়। এর আগে ড. ইউনুসকে শ্রম আইন লঙ্গনের মামলায় ছয় মাসের সাজা বাতিল করে তাকে খালাস দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে ইসলামী ধর্মমতে, সুদের কারবার হারাম। প্রকারান্তরে দেখতেই পাওয়া যাচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সুদের কারবার সঙ্গে যুক্ত। তাই বাংলাদেশের ভেতরেই ধর্মীয় মৌলবাদীদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী দিনে বাংলাদেশের নিপীড়িত, দিন আনি দিন খাই, সাদামাটা জনগণকে কাজে লাগিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম যে আরও বড় কোন আর্থিক তছরুপের সঙ্গে যুক্ত হবেনা তা বলা যাচ্ছে না।