স্বপ্নীল মজুমদার: জঙ্গলমহলে পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে আদিবাসী-মূলবাসীদের কর্মসংস্থানের উপর জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণে পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য ঝাড়গ্রামে(Jhargram) তৈরি হবে টাইগার সাফারি(Tiger Safari)।
শুক্রবার ঝাড়গ্রামে(Jhargram) বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন দুপুরে ঝাড়গ্রাম(Jhargram)স্টেডিয়ামে রাজ্যস্তরীয় বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে বন দফতরের ৬৪ একর জমিতে ১০ কোটি টাকা খরচ করে টাইগার সাফারি তৈরি করা হবে।
এছাড়াও আদিবাসী উন্নয়নে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ভারতছাড়ো আন্দোলনের দিন ছিল। এই বিশেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, জঙ্গলমহলেও অনেক বিশ্রুত জনজাতি-মূলবাসী স্বাধীনতা যোদ্ধা রয়েছেন। ওই বিস্রুত স্বাধীনতা যোদ্ধাদের নাম ও তথ্য সংগ্রহ করে পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন অলিম্পিকে ভিনেশের ছিটকে যাওয়া প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, আমি এক সময় কেন্দ্রীয় যুব ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। তখন থেকে আমি পরিকল্পনা করেছিলাম অ্যাকাডেমি তৈরি করে ক্রীড়া প্রতিভাগুলিকে তুলে আনা যায়। যারা রুপো জয় করেছে, আমি ব্যথিত যে মেয়েটি সোনা আনতে পারত, কি কারণে বা কেন তাকে বঞ্চিত করা হল সেটা দেশবাসী জানবে আগামী দিন। তবে তাকেও আমি অনেক অভিনন্দন জানাই।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টায় ঝাড়গ্রাম টুরিস্ট কমপ্লেক্স(Jhargram Rajbari Tourist Complex) থেকে স্টেডিয়ামের(Jhargram Stadium) অনুষ্ঠান স্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারত ছাড়ো আন্দোলন উপলক্ষে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ও আদিবাসী মহিলা শিল্পীদের সঙ্গে নৃত্যে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ সরকারি অনুষ্ঠানে ব্রাত্য খোদ সাংসদ! প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলেই
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী বিরবাহা ও নয়াগ্রামের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু। এরপর ঝাড়গ্রামের নবনির্মিত কালেক্টরেট ভবন সহ ২৯১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানানা, ঝাড়গ্রামে এক একর জমিতে সরকারি উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি সামগ্রী বিপণনের জন্য বিগ বাজার তৈরি করা হবে। সেখানে থাকবে সিনেমা হলও। এছাড়াও ঝাড়গ্রামে আদিবাসী ভবন তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি। আদিবাসীদের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের ভূমিকার কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, হাসিমুখে থাকবেন। এগিয়ে যেতে হবে। মিনিট পঁচিশ বক্তব্য রাখার পর সভা সেরে সড়কপথে কলকাতায় ফিরে যান মুখ্যমন্ত্রী।