Buddhadeb Bhattacharjee Death: প্র‍য়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

Buddhadeb Bhattacharjee Death: প্রয়াত হলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য(Buddhadeb Bhattacharjee Death)। মৃত্যকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর(Buddhadeb Bhattacharjee Death) পরিবার। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজ সকাল 8:20 মিনিটে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।

গত বছরের 29 জুলাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর 9 অগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন দীর্ঘদিন। এই সময় তাঁর অন্যান্য বার্ধক্যজনিত রোগ ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে কলকাতার আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

সেখান থেকে 12 দিন পর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাড়িতেই বাইপ্যাপ সাপোর্টে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রাইলস টিউব, কার্ডিয়াক মনিটরও ছিল তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য, যাতে তাঁর হার্টরেট, রক্তচাপ ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রা দেখা যায়।

তবে, এ অগস্টে শুরু কষ্ট এক অগস্টে এসে শেষ হল। ছেলে সুচেতন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বুদ্ধদেবের শ্বাসকষ্ট বেড়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

প্রসঙ্গত, ভট্টাচার্য, 1 মার্চ, 1944 সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন উত্তর কলকাতায়। তাঁর পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশে। তিনি কলকাতার স্বনামধন্য প্রেসিডেন্সি কলেজে বাংলা সাহিত্য অধ্যয়ন করেন এবং বাংলায় বিএ (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি সিপিআই(এম)-এ যোগ দেন। এরপর তাঁকে সিপিআই এর যুব শাখা, ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক করা হয়, যা পরে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের সঙ্গে মার্জ হয়ে গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, বাংলায় বামফ্রন্টের 34 বছরের শাসনের সময়, ভট্টাচার্য সিপিএমের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। 2000 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত টানা ১১ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। বাংলার উপমুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি, তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর পলিটব্যুরোর সদস্যও ছিলেন।

বাংলায় বুদ্ধদেবের অবদান

এক সময়ের জন্য, কৃষি ছিল পশ্চিমবঙ্গের আয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বুদ্ধদেব তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে শিল্পায়ন অভিযান শুরু করেছিলেন। বাংলায় কলকারখানা স্থাপনের জন্য বিদেশী ও জাতীয় পুঁজিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা গাড়ি টাটা ন্যানোও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার উৎপাদন কারখানা কলকাতার কাছে সিঙ্গুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহবাস! মারাত্মক অভিযোগ সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে

এগুলি ছাড়াও, রাজ্যে অন্যান্য বড় প্রকল্পগুলি শুরু করার পরিকল্পনা ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর, কিন্তু স্থানীয় স্তরে বিরোধিতার কারণে তিনি সফল হতে পারেননি। 2009 সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দলকে শোচনীয় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এর পরে, 2011 সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) প্রার্থী মনীশ গুপ্তের কাছে 16,684 ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন।